বঙ্গোপসাগরের কূলঘেষেঁ অবস্থিত কুকরি-মুকরি,ঢালচর মুজিবনগরসহ বেড়িঁবাধ সংলগ্ন নিন্মাঞ্চলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পানি বন্দি প্রায় ১০হাজার পরিবার পায়নি সহায়তা। উপজেলার হাজারীগঞ্জ ,রসুলপুর, নুরাবাদ,নীলকমল, নজরুল নগরসহ একাধীক ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অন্তত দুই শতাধীক বাড়িঘরসহ দোকানপাট ও রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের চতুর্থ দিনেও এসব এলাকার পানি বন্দিদের শুকনো খাবার ছাড়া আর কোনো ত্রাণ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। নদীতে ভাটা পড়লেও এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ফুট উচ্ছতার জোয়ারে প্লাবিত অনেক এলাকা থেকে এখনো পানি নামেনি। প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে। দূর্গত এসব পরিবারের খাবারের জন্য জ্বালানো যায়নি রান্নার চুলা। শুকনো খাবার ও স্যালাইন ছাড়া কোনো সহায়তা পায়নি চরাঞ্চলের এসব মানুষ। তবে স্থানী য় সাংসদ জননেতা আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ৫০হাজার টাকা দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত শতাধীক পরিবারকে। এছাড়াও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন কুকরি-মুকরির ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন খাদ্য ও অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করেছেন পানিবন্দি শতাধীক পরিবারকে। উপজেলা ত্রাণ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, ৩ হাজার পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ২০ টন চাল দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১৭০ জনের তালিকা তৈরী করে জেলায় পাঠানো হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, তালিকা করে বরাদ্ধকৃত চাল ও ৫হাজার টাকাসহ টিন দেয়া হবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে।