শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন

বিএনপি সবসময় ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে: মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩০ মে, ২০২১

বিএনপি সবসময় ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকেরা, বাংলাদেশের শত্রুরা মনে করেছিলো যে, বিএনপি শেষ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পর থেকে এই বিএনপি থাকবে না। বিএনপির রাজনীতি তো হচ্ছে এই দেশের মানুষের বুকের ভেতরের রাজনীতি, মাটির রাজনীতি। এটা বিএনপি ধারণ করে এবং সবসময় বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং চতুর্দিকে আবার বিস্তার লাভ করেছে।’ গত শনিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৮১ সালের ৩০ মে যারা তাকে (জিয়াউর রহমান) হত্যা করেছিলো তারা ছিলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার শত্রু, বাংলাদেশের মানুষের শত্রু, বাংলাদেশের যে উত্থান হয়েছিলো; সেই উত্থানের শত্রু।’
‘তারাই আজকে ২০০৬ সালে ১/১১ এর থেকে সক্রিয় হয়ে উঠে আবার বাংলাদেশকে ওই একই জায়গায় নিয়ে যেতে চায়। তারা বাংলাদেশের যে আইডেনটিটি, সেই আইডেনটিটিকে ধ্বংস করতে চায়। যে কথা আমাদের নেতাও বলেছেন যে, এই দেশটাকে তারা তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। সেটারই এখানে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার আবেদন আজকে তরুণদের কাছে, যুবকদের কাছে যে; ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম তখন আমরা তরুণ ছিলাম, যুবক ছিলাম। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তখন একেবারেই যুবক ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে আমরা সেই যুবকরাই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম অস্ত্র হাতে। আবারও ১৯৭৫ সালে শহীদ জিয়ার ডাকেই কিন্তু আমরা রাষ্ট্রকে নির্মাণ করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম।’
‘আজকে দীর্ঘ ১২ বছর হতে চললো- আমরা লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার আপোষহীন নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করে আছেন, অসুস্থ হয়ে আছেন। আজকে আমাদের সেই লড়াইকে ঠিক জায়গায়, কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। আসুন আমরা সবাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সংগঠিত হই এবং আজকে এই দিনে এই শপথ গ্রহণ করি; দেশমাতাকে মুক্ত করব, দেশকে মুক্ত করব এবং সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক উদার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করব।’
দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কেন আটকিয়ে রেখেছে তার কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘একটি মাত্র কারণ যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শহীদ জিয়ার যে পতাকা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-গণতন্ত্রের যে পতাকা; সেই পতাকাকে তিনি গ্রামে-গঞ্জে নিয়ে সেটাকে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছেন। সেজন্যেই দেশনেত্রীকে গ্রেফতার করে আটক করে রাখা হয়েছে। আজকে অসুস্থ হওয়ার পরেও তাকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যেতে না দেওয়ার সেটাই কারণ। যেন তিনি কোনওমতেই সুস্থ হয়ে আবার জনগণের সামনে আসতে না পারেন। কারণ তিনি ধারণ করেন সেই রাজনীতি সেই পতাকা যা শহীদ জিয়াউর রহমান ধারণ করতেন; যা এদেশের কোটি কোটি মানুষ ধারণ করে।’ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে একজন ‘ক্ষণজন্মা দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে অবহিত করে তার নেতৃত্বে ‘বিপ্লব’ সৃষ্টির নানা ঘটনা প্রবাহও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারাদেশের ৮১টি সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, মালয়েশিয়াসহ প্রবাসী শাখার নেতারাও এই ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত হন।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবন-কর্মের ওপরে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com