গতকাল সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ (ডিপিএল)। আবাহনী ও পারটেক্সের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াবে ১২ দলের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারই খেলছেন এই টুর্নামেন্টে। মোহামেডানের অধিনায়ক সাকিব। আবাহনীর ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহীম। প্রাইমে তামিম ইকবাল। এর মধ্যে নেই মাশরাফির নাম। প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় টুর্নামেন্টের শুরু থেকে তিনি খেলবেন না।
গত বছর করোনার প্রকোপে প্রিমিয়ার লিগ স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচ খেলেন জাতীয় দলের সাবেক এই ওয়ানডে অধিনায়ক।
করোনায় বদলে গেছে অনেক কিছুই। আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ কমে এসেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আয়োজেনের বিষয়টি অনেক আগে ঘোষণা দিতে পারেনি বিসিবি। সুযোগ বুঝে অনেকটা হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিবিকে। এ কারণে সেভাবে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পাননি মাশরাফি। তিনি বলেন, আগে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকতাম। বিরতিতে থাকলেও লিগ শুরুর অনেক আগে জানতে পারতাম, তখন প্রস্তুতি নিতাম। এখন তো সেই পরিস্থিতি নেই। বলা যায় অনেকটা হঠাৎ করেই জানতে পেরেছি, খেলা শুরু হচ্ছে। যা সময় পেয়েছি, প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। ব্যস্ততাও ছিল। প্রস্তুতি ছাড়া খেলার সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার বলেন, জৈব সুরক্ষা বলয়ও একটি কারণ। ২০ থেকে ২২ দিন হোটেলে সুরক্ষা বলয়ে থাকার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই। তাড়নাও কমেছে। লিগে ভালো করলে জাতীয় দলে সুযোগ থাকবে বা বিবেচনায় আসতে পারি, এমন হলেও চ্যালেঞ্জটা নেয়া যেত। পারফর্ম করার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেট নেয়ার পরও জায়গা পাইনি। প্রিমিয়ার লিগে খুব ভালো করলেও ওইভাবে কিছু হবে না, লাভ নেই।
টুর্নামেন্টের শেষের দিকে খেলার পরিকল্পনা আছে মাশরাফির। মাঝের এই সময়ে অনুশীলন করে নিজেকে প্রস্তুত করতে চান তিনি।