স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, চীন থেকে করোনার যে দেড় কোটি টিকা আসবে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। শিক্ষকদের আমরা দিচ্ছি। আমরা চাই, ভ্যাকসিন নিয়ে তারা স্বাভাবিক লেখাপড়া শুরু করুক। এক বছর লেখাপড়ায় বিঘœ হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিক্যালসহ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। আমরা চাই, সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করুক। এ জন্য যতগুলো বিশ্ববিদ্যালয় আছে সরকারি-বেসরকারি, ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক সবাইকে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়ার চেষ্টা করব।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের থেকে পরামর্শ হলো সব জেলায় কভিডের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে আমাদের পরামর্শ লকডাউন দেওয়া হোক। যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে না পড়ে। করোনা যে দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে, সে দেশে অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। আমরা চাই না, ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় আলোচনা করেছি, বর্ডারিং এরিয়ায় যে জেলাগুলো আছে, সেখানে কভিডের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে আমি অবহিত করেছি। উনি বলেছেন, লকডাউন ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে আরো বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশনা দিয়েছেন। বলেছেন, আরো বেশি করে প্রচার-প্রচারণা করার জন্য। নতুন টিকা দেশে আসা মাত্রই আবারও নিবন্ধন শুরু হবে। ফাইজারের টিকা নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।