ষড় ঋতুর এই দেশে বিভিন্ন মৌসুমে পাওয়া যায় নানান পুষ্টিকর ফল। এসব ফল আমাদের শরীরের পুষ্টিচাহিদা পূরণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমনই একটি ফল লিচু।
লিচুর পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারিতা সম্পর্কে পুষ্টিবিদ শওকত আরা সাঈদা লোপা জানিয়েছেন বিস্তারিত তথ্য।
তিনি জানান, লিচুর মূল উপাদান জলীয় অংশ অনেক বেশি থাকে। এর বাইরে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট খুব অল্প পরিমাণে থাকে। ফ্যাট না থাকয় সবার জন্য উপকারি একটি ফল। কম ক্যালরি সম্পন্ন এই ফল সবাই খেতে পারে। তবে যাদের মিষ্টি খাওয়া কিছুটা ঝুঁকির অর্থাৎ ডায়াবেটিস রোগী, তাদের জন্য এই ফল কিছুটা কম খাওয়াই ভালো।
লিচুতে ভিটামিস-সি, ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এছড়া অন্যান্য খনিজ উপাদানগুলো হচ্ছে- আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদানগুলো যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এ কারণে দৈনন্দিন পুষ্টিচাহিদা মেটাতে লিচু অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। তাই মৌসুমি ফলগুলো যতটা সম্ভব আমাদের জন্য খাওয়াটা খুবই উপকারি।
লিচুর উপকারিতা
লিচু আমদের শরীরে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে সব ধরনের ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া লিচুতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলা আমাদের রক্তের শ্রেতকণিকা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
লিচু শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বা রক্তের সঞ্চালন বৃদ্ধি করতের সহায়তা করে। রক্তের পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি পাওয়ায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
লিচু শরীরে ওজন কমাতে যথেষ্ট সহায়তা করে। লিচুতে থাকা খাদ্য-আঁশ খাদ্যের পরিপাক এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এছাড়া এই খাদ্য-আঁশগুলো দেহের ভেতর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সহায়তা করে।
লিচুর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হচ্ছে- এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। লিচুতে থাকা ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এছাড়া লিচু আমাদের হজমে সহায়তা করে। তবে পরিমাণে বেশি খেলে এটি আমাদের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
লিচু রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণেও বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। লিচু অ্যাজমা বা হাঁপানি প্রতিরোধে সহায়তা করে। সূত্র: ডক্টর টিভি