২০২০-২০২১ অর্থ বছরে রৌমারী উপজেলায় মুজিবশত বর্ষ উপলক্ষে প্রধারমন্ত্রীর উপহার হিসাবে ২য় দফায় মোট ২০২টি পরিবারের জন্য ‘ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পুর্নবাসন প্রকল্প‘ এর আশ্রয়ন প্রকল্প-২ নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। প্রবল বর্ষণে ৫টি ঘর ধসে পড়েছে। এঘটনা এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। ভেঙ্গে যাওয়া ঘর গুলো দ্রুত মেরামত করার জন্য প্রশাসনের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। ৩১ মে সোমবার সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা বগারচর নামক এলাকায় ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পুর্নবাসনে মোট ৩৫ টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মান কাজ চলমান রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে নিম্ন মানের কাজ, ঘরের পাশে ড্রেজারে বালু উত্তোলনে গভীর গর্তের সৃষ্টি ও আশ্রয় কেন্দ্রে গাইড ওয়াল না থাকায় রাতে সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের পাশের মাটি সরে গিয়ে ৫টি ঘর ধসে পড়েছে। দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজে ঘর নির্মানে তদারকি করেন। তবে ঘরগুলি নির্মানে নিম্নমানের কাজের কথা আমি আগেই শুনেছি এবং আমি আশংকা করেছি আগামি কয়েক বছরের মধ্যে ঘর গুলি ধসে পড়বে। এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারনে বালু সরে গিয়ে ৫টি ঘরের আংশিক ভেঙ্গে গেছে। ঘর গুলি দ্রুত মেরামতের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, আশ্রয়ন কেন্দ্র রক্ষায় গাইড ওয়াল নির্মানে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। গাইড ওয়ালের কাজ শুরু করার আগেই বৃষ্টিতে বালু মাটি সরে গিয়ে ঘর গুলি ধসে যায়। এ বিষয়ে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।