২০১৪ থেকে ২০১৬- পরপর তিনটি বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু একবারও শিরোপা উঁচিয়ে ধরা হয়নি বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। প্রথমে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ও পরের দুইবছর কোপা আমেরিকায় রানার্সআপ হয়েই থেমে গেছে আর্জেন্টিনার যাত্রা।
এরপর কোপা আমেরিকার ২০১৯ সালের আসরেও আর্জেন্টিনা পৌঁছেছিল সেমিফাইনালে, হয়েছিল তৃতীয়। তবু মেলেনি কাঙ্ক্ষিত শিরোপার দেখা। এখন আরও একটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট দোরগোড়ায়। লাতিন আমেরিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই কোপা আমেরিকা খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মেসি।
বিগত আসরগুলোর হতাশা দূর করে এবার আরও ভালো করার জন্য ক্ষুধার্ত আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। গত কয়েকবছরে নিজেদের সামর্থ্যের ছাপ রাখলেও, মেসির এবারের লক্ষ্য শিরোপা। আর্জেন্টিনার অনুশীলনে যোগ দিয়ে এমনটাই বলেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি অর জয়ী এ ফুটবলার।
অবশ্য কোপা আমেরিকা শুরু নিয়েও রয়েছে একপ্রকার শঙ্কা। আগামী ১৪ জুন থেকে টুর্নামেন্ট শুরুর কথা থাকলেও, মাত্র সপ্তাহদুয়েক আগে বদলে গেছে আয়োজক দেশ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আর্জেন্টিনা থেকে সরিয়ে ব্রাজিলে নেয়া হয়েছে এবারের কোপার আসর।
কোপা নিয়ে সংশয় থাকলেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্যও নিজেদের প্রস্তুত রাখছেন মেসি। তার ভাষ্য, ‘দলের সঙ্গে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। আমরা এক অদ্ভুত ও ভিন্নরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি, কঠোর পরিশ্রম করছি এবং বাছাইপর্বের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং ভালো করার জন্য ক্ষুধার্ত।’
লাতিন ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শুরুর আগে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চিলি ও কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। এরপর কোপা আমেরিকায়ও চিলির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হবে আলবিসেলেস্তেদের। গ্রুপে তাদের অন্য তিন প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, বলিভিয়া ও প্যারাগুয়ে।
এবারের কোপা আমেরিকাকে সামনে রেখে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে মেসি বলেছেন, ‘গত কোপা আমেরিকায় আমরা ভালো একটি ছাপ রেখেছিলাম। কিন্তু এতেই আমরা খুশি হতে পারি না। আমরা উন্নতি করে যেতে চাই। জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবসময়ই বিশেষ কিছু। আমরা জিততে চাই, আর এটাই আমাদের লক্ষ্য। তরুণ ও অভিজ্ঞরা এর জন্য প্রস্তুত।’