রাজনীতিবিদদের যে কোনো পোস্টের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক ও টুইটার এতদিন রাজনীতিবিদদের পোস্ট সেন্সর না করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে এখন থেকে আর সেই সুবিধা পাবেন না তারা। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য ভার্জের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে। জনপ্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বনেতা এবং রাজনীতিবিদদের মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর সুযোগ করে বারবারই আলোচনায়। গত মার্কিন নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে তুলকালাম হয়। ফেইসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন, রাজনীতিকদের বক্তব্যে নজরদারি চালানো উচিত না।
জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা ঠেকাতে তিনি ফেসবুকে একের পর এক পোস্ট করেন। তার পোস্টে উজ্জীবিত হয়ে অনুসারীয়া গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায়। এরপর ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম থেকে ট্রাম্পকে ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ঘটনার গুরুত্ব বিচারে স্বাধীন পর্যালোচনার জন্য ওভারসাইট বোর্ডের কাছে আবেদন করে ফেসবুক। পুনঃপর্যালোচনা শেষে ফেসবুকের আগের সিদ্ধান্তের পক্ষেই রায় দেয় সেই কমিটি।