রবিবার, ২৬ মে ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের নিচে নেমে গেছে চালের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উপকূলের উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবি চিকিৎসা শেষে সস্ত্রীক দেশে ফিরলেন আব্বাস ডিসি-ইউএনওদের দামি গাড়ি দেয়ার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় : অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন সরকারের ক্ষমতার পেরেক যেকোনো সময় ভেঙে যাবে : রিজভী কুমিল্লায় ডা. আবু নাঈমের বাগানের কচুরিপানা দর্শনার্থীকে বিমোহিত করে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানোর এজেন্ডা নেই: ওবায়দুল কাদের সরকারি চাকরি নিয়ে এখন সামাজিকমাধ্যমে ট্রল হয়: শিক্ষামন্ত্রী ত্রিভুজ-চতুর্ভুজ বাদ: নতুন কারিকুলামে ৭ ধাপে মূল্যায়ন, সবচেয়ে ভালো ‘অনন্য’ কুমিল্লার দৌলতপুরেই ১৬০টি গান ও ১২০টি কবিতা লিখেছেন কবি নজরুল

২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১৯৭০, মৃত্যু ৩০

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

সীমান্তবর্তী হাসপাতালে সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ 
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৭০ জন। তাদের নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে সরকারি হিসেবে শনাক্ত হলেন আট লাখ ১২ হাজার ৯৬০ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩০ জন। তাদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন মোট ১২ হাজার ৮৬৯ জন। গতকাল সোমবার (৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত দেশে করোনাতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯১৮ জন, তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হলেন সাত লাখ ৫৩ হাজার ২৪০ জন। এই সময়ে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ১৭ হাজার ৬৬৬টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ১৬৯টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ লাখ ৬৭ হাজার ৪২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ২৫ হাজার ৮২৮টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ২১৪টি।
সীমান্তবর্তী হাসপাতালে সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি ছাড়া অন্য সেবা বন্ধ: দেশের সীমান্তবর্তী জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে কভিড-১৯ রোগের সেবার পরিধি বাড়াতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসার বাইরে কেবল জরুরি সেবা চালু রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স¤প্রতি সীমান্ত এলাকায় প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত রোববার দুপুরে এক অলনাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও পরিচালক (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ সব সীমান্ত এলাকার হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ছাড়া কোনো রোগী যেন ভর্তি করা না হয়, সে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী হাসপাতালের জন্যও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে গোটা হাসপাতালই যেন করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত বা বিশেষায়িত করে দেয়া যায়, সে প্রস্তুতিও রাখতে বলা হয়েছে। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ হাজার ৬৭৬ জনের শরীরে কভিড-১৯-এর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সময় আরো ৩৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী মারা যায়। এতে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জন ও মারা গেছে ১২ হাজার ৮৩৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৯টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ৬১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৪ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত রোববার মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ৩১ জন সরকারি ও ছয়জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং একজন বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ২৩ জন ষাটোর্ধ্ব। বাকিদের মধ্যে নয়জন ৫১ থেকে ৬০ বছর, দুজন ৪১ থেকে ৫০, তিনজন ৩১ থেকে ৪০ ও একজন ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী। বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃতদের মধ্যে চারজন ঢাকা, ১২ জন চট্টগ্রাম, চারজন রাজশাহী, ছয়জন খুলনা, একজন বরিশাল, তিনজন সিলেট, পাঁচজন রংপুর ও তিনজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা। গতকাল পর্যন্ত মারা যাওয়া করোনা রোগীর মধ্যে ৯ হাজার ২৫৬ জন পুরুষ ও ৩ হাজার ৫৮৩ জন নারী।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষদিকে এসে সংক্রমণ কমলেও চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে যায়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গতকাল পর্যন্ত ১ কোটি ৩৬ হাজার ৭১১ ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৪২ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৬ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com