দিনাজপুরের হিলি বন্দরে পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের কেজি ২৫ টাকা। আবার খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। আমদানি বাড়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম, বলছেন পেঁয়াজ আমদানি কারকরা। এদিকে বাজারে হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কমাই স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে। রবিবার (১৩ জুন) দুপুরে হিলি বন্দর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা। যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে পাইকারী বিক্রি হয়েছিল ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, তা খুচরা বাজারে বিক্রি ছিল ৪০ টাকা দরে। আজ তা পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৬ টাকা, খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ বলেন, এক সপ্তাহ আগের চেয়ে এখন পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। আজ আমরা ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে কিনে বিক্রি করছি ৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজ কিনতে আসা মজিবর রহমান বলেন, এর আগে পেঁয়াজ কিনে খেলাম ৫০ থেকে ৬০ দামে। আজ তা ৩০ টাকা করে নিলাম। দাম কম হওয়াতে ২ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। হিলি বাজারে পাইকারী পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, বর্তমান পেঁয়াজের দাম কমে গেছে, আমরা পেঁয়াজ আমদানি কারকদের নিকট ২৩ থেকে ২৪ টাকা দরে পাইকারী কিনে তা আবার বাজারে পাইকারী বিক্রি করছি ২৫ থেকে ২৬ টাকা দরে। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানি কারক মনোয়ার চৌধুরী জানান, হিলি বন্দরে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে পেঁয়াজের দামও কমে গেছে। আমরা ৩০০ ডলারে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছি। তা আবার বিক্রি করছি ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে। পেঁয়াজের দাম কম হওয়াতে আমাদের পরতা কম হচ্ছে। এদিকে হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম জানান, গত ৩ জুন থেকে পুনরায় পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। ৩ থেকে গতকাল শনিবার ১২ জুন থেকে হিলি বন্দরে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৫ মেট্রিকটন। আর তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯০ লাখ ৬০ হাজার টাকা।