জার্মানির ফেডারেল অফিস ফর রেডিয়েশন প্রোটেকশনের এক সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, ওয়াই-ফাইয়ের অতিরিক্ত ব্যবহারে স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে। এতে আরো উল্লেখ করা হয়, চলমান করোনা সংকটের মধ্যে হোম অফিস করার জন্য অনেকে ওয়াই-ফাই ব্যবহার করছেন। এতে করে অনেককে দীর্ঘ সময় অনলাইনে থাকতে হচ্ছে। আর এই অতিরিক্ত সময়ের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন অনেকে। এমনকি মস্তিষ্ক ও স্নায়ু রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ। কিন্ত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, ইলেকট্রিক ডিভাইস থেকে দুই ধরনের বিকিরণ হয়, আয়নাইজিং ও নন-আয়নাইজিং। প্রথমটি মাইক্রোওয়েভের মতো যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয়টি ব্যবহৃত হয় ওয়াই-ফাই ও ব্লুটুথের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না।
তবে জার্মান সংগঠনটির সতর্ক বার্তায় ওয়াই-ফাইয়ের ঝুঁকি থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য সেগুলো নিচে তুলে ধরা হল- ১. ঘুমানোর সময় ওয়াই-ফাই রাউটার বন্ধ করতে হবে। ২. কাজের অবসরে রাউটার বা ব্লুটুথ স্পিকার বন্ধ রাখা জরুরি। ৩. প্রয়োজন না হলে ওয়াই-ফাই রাউটার চালু করা যাবে না। ফোনের এমবি প্যাকও চালু করা উচিত নয়। ৪. সম্ভব হলে, ওয়াই-ফাই ব্যবহার না করে তারের সাহায্যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করতে হবে।