রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

অস্ট্রেলিয়ায় করোনা প্রতিরোধে স্টেম সেল থেরাপি

অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৩ মে, ২০২০

করোনাভাইরাসের রোগীদের সুস্থ করতে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের ভিক্টর চ্যাং কার্ডিয়াক রিসার্চ ইন্সটিটিউটে স্টেম সেল থেরাপি শুরু হচ্ছে।

হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক জেসন কোভাচিচ জানিয়েছেন, নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে তারা স্টেম সেল নিয়ে কাজ করবেন।

কোভাচিচ বলেন, ‘আমেরিকার হাসপাতালে ১২ জন রোগীর ৯ জন স্টেম সেল থেরাপির পর ভেন্টিলেটর থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তাও ১০ দিনের ব্যবধানে।’

যেসব রোগীর আগে থেকে হৃদরোগের সমস্যা আছে স্টেম সেল থেরাপি তাদের মৃত্যুহার কমাতে পারে বলে আশা করা করছেন কোভাচিচ।

রোগীর নিজ শরীরের কোষ থেকে সংগৃহীত স্টেম সেল মানুষের চিকিৎসাকাজে ব্যবহার করার নাম স্টেম সেল থেরাপি। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীর শরীরে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। ওই বছর জুলাইতে জাপান প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনুমোদন দিয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে স্থান করে নেয়।

কোভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে যেভাবে কাজ করছে স্টেম সেল: রোগীর শরীরের মোট ওজনের প্রতি কেজিতে ১০ লাখ করে মেসেনকাইমাল স্টেম সেল (এমএসসি) পুশ করা হয়। এতে অসুস্থতার তীব্রতা ২-৪ দিনের ভেতর কমতে শুরু করে।

এজিং অ্যান্ড ডিজিজ জার্নালে বলা হয়েছে, এই থেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। নাভি-রজ্জুর মেসেনকাইমাল স্টেম সেল ব্যবহার করে প্রথম চিকিৎসা করা হয় আইসিইউতে থাকা ৬৫ বছর বয়সী এক নারীর। ৩ দিন পরে তিনি হাঁটতে শুরু করেন। পরে আরও সাতজনকে দিয়ে সাফল্য পাওয়া যায়।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে এমন নানা ধরনের চিকিৎসার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। চার দেশ ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল দিয়েছে। আমেরিকা-জাপান রেমডিসিভির ওষুধ নিয়ে কাজ করছে। চলছে প্লাজমা থেরাপির ট্রায়ালও। কিন্তু কোনওটিই এখনও শতভাগ কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি।

এমআর/প্রিন্স




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com