সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে এক সপ্তাহে টানা ভারি বৃষ্টিতে খাল বিল পুকুর নদী নালা রাস্তা ঘাট সহ নিচু এলাকায় পানি জমে জনসাধারনের চলাচলে জনজীবনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জানা যায়, চলতি অর্থ বছরের মে মাসের শেষ ভাগে জুন মাসের শুরুতেই বাংলা সনের আষাঢ় মাসের শরুতে এ বছরের ভারি বৃষ্টি পাত দেখা দেয়। গত এক সপ্তাহ জুড়ে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। এতে খাল বিল পুকুর নদী নালা রাস্তা ঘাট সহ নিচু এলাকায় পানি জমে জনসাধারনের চলাচলে জনজীবনে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকের তৈরি আমন ধানের বীজতলা এই ভারি বৃষ্টিতে অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। আর নিচু এলাকার জমিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক আবু সাইদ ও রুপাখাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম জানান গত ৭ দিন ধরে বৃষ্টিতে অনেক নিচু জমিতে পানি জমে গেছে আর আমন ধানের বীজতলায় পানি জমে আমন বীজ নষ্ট হচ্ছে। আর রাস্তায় পানি জমে থাকায় একদিকে যেমন গর্ত আর কাদা জমে গেছে অন্য দিকে রাস্তা কাচা হওয়ায় কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যে কারনে আমাদের পায়ে হেটেঁ চলতে হচ্ছে। অপরদিকে নলকা সুজাপুর গ্রামে আব্দুল কাদের জানান, আমাদের গ্রামে পাকা রাস্তা না হওয়ায় তাই সামন্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে কাদা সৃষ্টি হয়। আর নদী খাল বিল থাকলেও কোন ব্রীজ কালভাট না থাকায় গ্রামবাসীর চলতে হয় নৌকায় আর পায়ে হেটেঁ। এব্যাপারে নিমগাছী শীতল পাই গ্রামের অশোক কুমার সিং ও ধীরেন্দ্র নাথ সিং জানান চলমান বৃষ্টিতে আমার বাড়ীর পার্শ্বে রাস্তায় জলাবদ্ধতায় রাস্তায় পানি জমে গেছে। এবিষয়ে নিমগাছী বাজারের বাসিন্দা অব:পাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব সামছুল হক জানান প্রচুর বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়ায় কষ্ট কর হয়ে গেছে। অপরদিকে নিমগাছী বাজার হতে নিমগাছী ভুইয়ট গ্রামের কড়িতলা পর্যন্ত পাকা রাস্তায় পানি জমে থাকায় রাস্তায় গর্ত আর কাদা জমে যাওয়ায় জনসাধারন সহ সব ধরনের যানবাহন চলতে পারছে না। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী দ্রুত এই রাস্তা গুলো সংস্কারের মাধ্যমে জন সাধারনের চলাচলের সু ব্যবস্থা করা হোক।