জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী। নাট্য নির্দেশক হিসেবেও খ্যাতি আছে তার। তবে অনেকদিন ধরেই দেখা নেই তার পর্দায়। নির্মাণেও অনুপস্থিত। করোনা শুরু হবার পর থেকে ঘরেই আছেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন নিরাপদে। সংসারকে সময় দিয়েছেন। করোনার সময়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোকেয়া প্রাচীর প্রযোজনা সংস্থা থেকে চারটি তথ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে। যার মধ্যে তিনি ‘যুদ্ধ এবং বীরাঙ্গনা’ নির্মাণ করেছেন। এতে অভিনয়ও করেছেন। এছাড়া করোনার মধ্যে দুটি সিনেমাতে তার অভিনয়ের কথা ছিলো। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি।
বিরতি কাটিয়ে আবারও ‘লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন’র মাঠে ফিরছেন রোকেয়া প্রাচী। তিনি জানান, আগামী ঈদের পর একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। পরিচালনার পাশাপাশি সেখানে অভিনয়ও করবেন। রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘করোনার সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। আমার মাকে বিশেষভাবে সময় দিয়েছি। ছোট মেয়ে আগে থেকেই সঙ্গে ছিলো। সম্প্রতি বড় মেয়েও দেশে এসেছে। খুব চমৎকার সময় কাটছে আমাদের। সত্যি বলতে কী করোনার জন্য গৃহবন্দী হয়ে থাকলেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন পর এতোটা সময় কাটানোর সুযোগ হলো। তবে কাজে ফিরতে হবেই। তাই ভাবছি ঈদের পর নতুন একটি ধারাবাহিক নাটক নির্মাণ করবো। সেটি নিয়েই আপাতত ব্যস্ত আছি। প্রস্তুতি চলছে।’
রোকেয়া প্রাচী প্রথম বিটিভির ‘জয় পরাজয়’ নাটকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে মোরশেদুল ইসলামের ‘দুখাই’ সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। এই সিনেমাতে অভিনয়ো জন্য তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হন। তাই বরারবই তিনি মোরশেদুল ইসলামের প্রতি কৃতজ্ঞ। তার কৃতজ্ঞতা চ্যানেল আই ও চ্যানেলটির অন্যতম ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগরের প্রতিও। প্রাচী জানান, ‘অন্তর্যাত্রা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ‘কারা ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যাল’-এ বিপাশা বসু, কংকনা সেন ও ফিলিপাইনের একজন অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থেকে অভিনেত্রী হিসেবে শ্রেষ্ঠত্বর পুরস্কার লাভ করেন। রোকেয়া প্রাচী অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো হচ্ছে ‘দুখাই’, ‘মাটির ময়না’, ‘অন্তর্যাত্রা’, ‘কারিগর’, ‘ডুব’,‘মনের মানুষ’, ‘গাড়িওয়ালা’, ‘স্বপ্ন ডানায়’, ‘বৃত্তের বাইরে’ , ‘অন্ধ নিরাঙ্গম’ সিনেমায় অভিনয় করেন।