ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের অবস্থানের খবর পেয়ে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায় অবস্থানকারীরা৷ ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ সময় দুটি হলের ছয়টি রুম সিলগালা করে হল প্রশাসন। সিলগালা হওয়া রুমগুলো হলো- জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নং রুম। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২৫, ৩৩ ও ৩৯ নং রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- দুই হলের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টরিয়াল টিম ও শাহবাগ থানা পুলিশ।
অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, আমি নিজে ও হল প্রভোস্টদের উপস্থিতে হল দুটিতে অভিযান চালানো হয়। দুই হলের তিনটি করে ছয়টি রুম সিলগালা করা হয়। জহুরুল হল হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায় তবে তাদের উপস্থিতির আলামত আমরা পেয়েছি, বাতিও জ্বালানো ছিল। আর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে প্রভোস্টকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বন্ধ হলে কীভাবে কেউ ঢুকে অবস্থান করছেন, বিষয়টি তাঁদের জানা নেই৷ তবে হলের যেসব কক্ষে কারো অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। বন্ধ হলে অবস্থান করার বিরুদ্ধে তাঁরা কঠোর অবস্থানে আছেন। সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, আমাদের হলে কেউ অবস্থান করেনি। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী তালা দেওয়ার কারণে বের হতে না পারায় অবস্থান করে, তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।