জামালপুরের তানিয়া আক্তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। রোববার দুপুরে জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে তানিয়ার বাবা হাসান মাহমুদ অভিযোগ করেন, তার কন্যা তানিয়া আক্তার(২৫) এর সাথে মেলান্দহ উপজেলার কাজাইকাটা গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম ডেঙ্গার পুত্র শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের সাথে ৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৫ বছরের এক ছেলে ও ১০ মাস বয়সের ১ কন্যা রয়েছে। তানিয়ার স্বামী গত ৩ বছর আগে তানিয়ার খালার কাছে ৩ লাখ টাকা ধার নেয়। এই টাকা পরিশোধ করার জন্য তাগাদা দিলে তানিয়াকে শারীরিক নির্যাতন করে। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতন সহ্য করে সংসার করে আসছিলেন তানিয়া। চলতি জুন মাসের ২ তারিখ সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে তানিয়া আক্তারকে নির্যাতন করে হত্যার পরে হার্ট এ্যাটাকে (স্টোক করে) মারা গেছে বলে প্রচার করে। ওইদিন দুপুর আড়াইটায় তানিয়ার শ্বশুর বাড়ীর প্রতিবেশীর মাধ্যমে তানিয়ার পরিবার জানতে পারেন তানিয়া আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তানিয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিত্র দেখতে পান। পরে ঘটনাটি মেলান্দহ থানার পুলিশকে জানান। পুলিশ ওইদিনই আসামীদের বসতবাড়ী থেকে লাশ উদ্ধার এবং প্রধান আসামী আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আবু তাহের, আবু তাহেরের বাবা নুর ইসলাম ডেঙ্গা, মা তারজিনা বেগম ও বোন লুনা আক্তারকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মেলান্দহ থানার মামলা নং-০৫, তারিখঃ ০২/০৬/২০২১ইং। ঘটনার দিন প্রধান আসামী গ্রেপ্তার হলেও অন্য আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরছে। অন্য আসামীরা গ্রেপ্তার না হলেও হত্যা মামলার বাদীসহ সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে মামলা প্রত্যাহারের জন্য। ময়না তদন্তের রিপোর্ট টাকার বিনিময়ে খেয়ে ফেলেছেন বলেও প্রচার করছে প্রভাবশালী মহল। প্রভাবশালীদের হুমকিতে বর্তমানে বাদীর পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতায় আছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তানিয়া হত্যার ন্যায় বিচার এবং এই মামলার বাদী ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন পরিবারটি।