জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ৭নং মেরুরচর ইউনিয়ন অনেকটাই প্রকৃতিক দূর্যোগ, নদী ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত ইউনিয়ন হিসেবেই পরিচিত। আর এই পিছিয়ে পড়া সেই খাইরুন সুন্দরির মেরুরচর ইউনিয়নকে আধুনিক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্রাম হবে শহর এই প্রতিপাদ্যকে বাস্থবায়ন করতে দিনরাত পরিশ্রম করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা এর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মেরুরচর ইউনিয়নবাসীর আইকন বর্তমান মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জাহিদুল ইসলাম জেহাদ। পারিবারিক ভাবেই সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম গ্রহন করেন তিনি। তার দাদা প্রয়াত শাহ জামাল মেরুরচর ইউনিয়নে টানা ২৫ বছর, তার বাবা মুক্তিযুদ্ধকালীন কোম্পানী কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা ১ বার ও তিনি নিজে মেরুরচর ইউনিয়নবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি জনকল্যানের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে চেয়ারম্যান হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে শেরপুর কলেজে ১৯৯৪-৯৫ সালে ভিপি নির্বাচিত হয়।এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় অংশগ্রহন করে বর্তমানেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এই সাবেক ছাত্রনেতা। জানা যায়, মেরুরচর ইউনিয়নে মাত্র একটি ব্রীজের অভাবে দীর্ঘ ৪ বছর মূল উপজেলা শহরের সাথে অনেকটা বিচ্ছন্ন ছিল। যা তার ঐক্যন্তিক প্রচেষ্টায় স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন এর সার্বিক সহযোগীতায় তা সম্পন্ন করেছেন তিনি। অবহেলিত মেরুরচর ইউনিয়নবাসীর চলাচলের সুবিধার্থে আয়েরমারী মুন্দিপাড়া ব্রীজ থেকে বাঘাজুবা দাগুরবাড়ি পর্যন্ত সরকারী মাত্র দেড়লাখ টাকা থেকে বাকী ৬ লাখটাকা নিজের ইউনিয়নের পরিষদের সন্মানির টাকা থেকে তা করে দিয়েছেন। এ যাবৎ কালে তিনি ১ হাজার ৪শ জনকে বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা সহ নানা ধরনের সরকারী বেসরকারী ও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সহায়তা করেছেন তিনি। আর এসব ভাতাদি বিতরনে কোন ধরনের অনিয়ন,জালিয়াতি কিংবা কোনপ্রকার অসুপায়ে টাকা পয়সা লেনদেনের কথা কেউ অভিযোগ করতে পারবেনা। সম্পূর্ণ দূর্নীতি মুক্ত থেকে মেরুর চর ইউনিয়নকে বর্তমান সরকারের সহযোগীতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন তিনি। সেই সাথে শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে বকশীগঞ্জ উপজেলার সর্বোচ্চ মেরুরচর ইউনিয়নেই ৬৫টি পাকা বাড়ি প্রদানে সকল ধরনের সহযোগীতা করেন তিনি। আর তার এই ভালো কাজে ঈর্ষান্তিত হয়ে একদল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী অপশক্তি নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গাজী জাহিদুল ইসলাম জেহাদ জানান,অপশক্তির অপপ্রচার চালিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন রোধ করা যাবে না। যত অপপ্রচার করবে ততই আমি মেরুরচর ইউনিয়নের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। আগামীতে মেরুরচর ইউনিয়নকে আরো আধুনিক,ডিজিটাল ও মডেল একটি ইউনিয়নে রূপান্তর করতে আর শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রুতি গ্রাম হবে শহরকে বাস্তবায়ন করতে সকল শ্রেণীপেশার মানষের সহযোগীতা কামনা করেছেন তিনি।