করোনা মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ প্রচারাভিযান শুরু করেছে নীলফামারী পৌরসভা। শতভাগ মাস্ক ব্যবহার, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা এবং লকডাউনের সময় সরকারী নির্দেশনা প্রতিপালনে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে হাট বাজারসহ পাড়া মহল্লায়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়ক পরিচ্ছন্ন রাখতে ভেকম ক্লিনার গাড়ি দিয়ে জীবানু নাশক ছিটানো হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বিশেষ এই কর্মসুচী শুরু করা হয়। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমন্বয়ে লিফলেট বিতরণ, মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করণে মাইকিং, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করণ এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে। পৌরসভার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মরতুজ আলী মর্তুজা জানান, পৌরসভার বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে আমরা সচেতন মুলক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছি পাশাপাশি করোনা মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশনা প্রতিপালনে আহবান জানাচ্ছি। বিশেষ করে বাজার গুলোয় যাতে সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা হয় সেজন্য ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের অবহিত করা হচ্ছে। নীলফামারী পৌরসভার সচিব মশিউর রহমান জানান, মেয়র স্যারের সার্বিক তত্বাবধান ও মনিটরিং এর মাধ্যমে পুরো কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিশেষ করে যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে তাৎক্ষনিক ভাবে পাশে থাকবে পৌরসভার কর্মীরা। নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, গেল বছর করোনার শুরু থেকে দিনরাত পরিশ্রম করে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীরা। রাস্তা ঘাট, ড্রেন, ডাষ্টবিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় বিশেষ পদক্ষেপ এবং প্রতিদিনই জীবানু নাশক স্প্রে করা হয় অত্যন্ত ঝুঁিক নিয়ে। এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবানু নাশক স্প্রে করেন পৌরসভার কর্মীরা। মাঠ পর্যায়ে এসব কাজে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আমি নিজেই করোনায় আক্রান্ত হই। করোনা যে আক্রান্ত হয়েছে সে বোঝে এই রোগের প্রকোপ। তিনি বলেন, আমি পৌরবাসীর কাছে অনুরোধ জানাবো সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়নে সোচ্চার হোন এবং লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না। চিন্তা করবেন আপনার কারণে যেন আপনার পরিবার অনিরাপদ না হয়ে উঠে।