ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের কর্ণধার রফিকুল আমীনকে গতকাল শনিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিএসএমএমইউ ছাড়পত্র দেওয়ার পর সেখান থেকে রফিকুল আমীনকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ‘অসুস্থতার কথা বলে’ প্রায় তিন মাস এই হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন তিনি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ডেসটিনির রফিকুল আমীনকে বহনকারী গাড়ি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এখানে তাঁকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে (সঙ্গনিরোধ) রাখা হবে।
হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকে তিনি জুমে ব্যবসায়িক বৈঠক এবং নতুন এমএলএম কোম্পানি খোলার কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর একটি জুম মিটিংয়ের প্রায় এক ঘণ্টার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর কারা কর্তৃপক্ষ রফিকুল আমীনের পাহারায় থাকা প্রধান কারারক্ষীসহ আটজনকে গত বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করে নেয়। গতকাল ৪ প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত ও ১৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মানি লন্ডারিং মামলায় রফিকুল আমীনকে ২০১২ সালের অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়। কারাগার সূত্র জানায়, এরপর থেকে রফিকুল আমীন একেক সময় একেক রোগের কথা বলে হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকেছেন। তিনি মূলত ঘুরেফিরে বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। এর মধ্যে বেশির ভাগ সময় ছিলেন বিএসএমএমইউতে। তবে এবারের মতো একটানা এত লম্বা সময় তিনি এর আগে ছিলেন না। এর আগে সেখানে সর্বোচ্চ টানা দেড় মাস থেকেছেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১১ এপ্রিল তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে আসেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, রফিকুল আমীন গত ১১ এপ্রিল বিএসএমএমইউতে আসেন এবং হৃদ্যন্ত্র, কিডনি, অর্থোপেডিকস ও ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা জানান।