সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউনেও ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে স্বাভাবিক ভাবে চলছে আমদানি-রপ্তানি সহ বন্দর কার্যক্রম। সকল স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। শনিবার (৩ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন হিলি পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী (নেপাল)। হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়েছেন সরকার। তবে দেশের প্রতিটি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি সহ সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে হবে। এটি রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত, আমাদেরও মনে নিতে হবে। তিনি আরও জানান, হিলি বন্দরে যে সকল আমদানি-রপ্তানি কারকরা রয়েছেন তারা অবশ্যই সরকারি বিধিনিষেধ অনুযায়ী আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তারা মাস্ক পরিধান করে শুধু মাত্র তাদের অফিস থেকে বন্দরে আসা-যাওয়া করবেন এবং তাদের গলায় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক প্রধান গোলাম মোর্শেদ জানান, এই বন্দরে আমার প্রায় ৫০০ জন শ্রমিক কাজ করে। করোনা এবং লকডাউনের কারণে অল্প শ্রমিক নিয়ে বন্দরের অভ্যন্তরে লোড-আনলোডের কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের সকল বিধিনিষেধ অনুযায়ী শ্রমিকরা বন্দরে অবস্থান করছেন। তারা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং মুখে মাস্ক পরিধান করে কাজ করছেন। ভারতীয় পণ্য বাহী ট্রাকের চালক হেলপারদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখছেন। এবিষয়ে হিলি পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত কুমার চক্রবর্তী নেপাল জানান, দ্বিতীয় ধাপের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের রোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং স্বাস্থ্য বিধির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিটি ঘোষণায় আমরা সরকারি বিধিনিষেধ ও নির্দেশনা অনুযায়ী হিলি বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সহ ভারত থেকে পণ্য বাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করাচ্ছি। তিনি আরও জানান, দেশে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনেও সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক রেখেছি। ভারত থেকে পণ্য বাহী ট্রাকগুলো হিলি চেকপোস্টে প্রবেশ শুরু থেকে বন্দরে প্রবেশ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য বিধির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় ট্রাক চালক-হেলপারদের সরকারি বিধিনিষেধের মধ্যে রাখা হচ্ছে। তাদের নিদিষ্ট সময়ে বন্দরে প্রবেশ করে আবার দ্রুত পণ্য খালাস করে যথা সময়ে তাদের নিজ দেশে ফিরত পাঠানো হচ্ছে। এদিকে বন্দরের অভ্যন্তরে কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারী, বন্দর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লেবার শ্রমিকরা সকল প্রকার সরকারের দিকনির্দেশনা মেনে চলছে।