মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া
বিশ্বের অনেক দেশই মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। কিন্তু জনপ্রিয়তায় মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান সবার শীর্ষে। শুধু তাই নয়, মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া টেলিভিশন রিয়েলিটি শো অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠানও বটে। এখন এর ১৩ তম আসরের মূল পর্ব চলছে। প্রাথমিক বাছাইপর্ব পেরিয়ে মোট ২৪ জন অংশ নিচ্ছিলেন চূড়ান্ত পর্বে। তুমুল প্রতিযোগিতার পর শীর্ষ চারে এখন জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী নারী কিশোয়ার চৌধুরী। এই প্রতিযোগিতায় কিশোয়ার বাংলাদেশের নানা স্বাদের মজাদার সব ঐতিহ্যবাহী পদ যেমনঃ লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা খাইয়ে বিচারকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এক বিচারক তো বলেই ফেললেন, তুমি (কিশোয়ার) অসাধারণ রাঁধুনি আর সুযোগ থাকলে আমি তোমার সন্তান হতে চাইতাম। চাইলে তোমার রান্না খাওয়ার জন্য আমায় নতুন সন্তান হিসেবে নিতে পারো।
এদিকে দর্শকদের অনেকেই মনে করছেন ৩৮ বছর বয়সী কিশোয়ারই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভ করবেন। তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে সাড়া পড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে সমর্থন করছেন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরাসহ অনেক অস্ট্রেলিয়ান। বিজয়ী হলে অন্যান্য অনেক আকর্ষনীয় পুরস্কারের সাথে তিনি পাবেন প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা।
কিশোয়ার চৌধুরী মূলত একজন বিজনেস ডেভেলপার, পারিবারিক প্রিন্টিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায় হলেও তার বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরের আর মা কলকাতার বর্ধমানের। তারা দুজনে প্রায় ৫০ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমান। তবে বিদেশে বসবাস করলেও নিজের দেশের ভাষা, সংস্কৃতি চর্চা সবকিছুই বজায় রেখেছেন কিশোয়ারের বাবা-মা, আর সেটা তারা নিজের সন্তানদেরও ধারণ করতে উৎসাহিত করেছেন।