শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে বন্য হাতির আক্রমণ যেন থামছেই না। গাছের আম, কাঁঠাল ছাড়াও হামলা করছে আমন বীজতলায়। তাই পাহাড়িবাসীর হাতি আতংক চলছে রাতদিন। সর্বশেষ কয়েকদিন আগে আন্ধারুপাড়া গ্রামে বন্য হাতির দল আক্রমণ করে। আমন আবাদের বীজ তলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, গভীর রাতে বন্য হাতির পাল খাদ্যের সন্ধানে প্রবেশ করে লোকালয়ে। এ সময় উপজেলার সীমান্তবর্তী আন্ধারুপাড়া গ্রামে পাহাড়ি গোপে তৈরিকৃত বীজ তলায় তান্ডব চালিয়ে কৃষক ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান মি. লুইস নেংমিঞ্জার ৮০ কেজি, এন্ড্রোস রাকসামের ১৫ কেজি, জন মাংসাং এর ১০ কেজি, হাসমত আলীর ২৫ কেজি, আনোয়ার হোসেনের ১০কেজি, অজিত সাংমার ১৫ কেজি, জন ম্রং এর ২০ কেজি, মেজেস সাংমার ১০ কেজি ও আশিন্দ্র ম্রং এর ১০ কেজি ধানের বীজতলা খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে। রোপিত এই চারা দিয়ে আর এক সপ্তাহ পরেই জমিতে রোপন করার উপযুক্ত ছিল। এরা অধিকাংশই প্রান্তিক চাষী। অতিবুষ্টিতে পাহাড়ি পানিতে কিছুটা নষ্ট হয় এইসব বীজতলা। এ অবস্থায় বন্য হাতি তান্ডব চালিয়ে পা দিয়ে একেবাওে মাড়িয়ে দিয়েছে এই বীজতলাগুলো। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক দিশেহারা। এই মুর্হুতে নতুন করে বীজ বপন করে চারা করা খুব কঠিন ব্যাপার। ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মি. লুইস নেংমিঞ্জা বলেন-আমরা খুবই অসহায়। হাতির সাথে আর পারছি না। পাহাড়ি এসব জমিতে কৃষি আবাদ হাতির কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব কৃষকের প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টিসহ হাতি আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে স্থায়ী সমাধান চান তারা। নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের নতুন করে বীজতলা তৈরির জন্য সহযোগীতা করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের প্রদর্শনী প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।