আগামী রোববার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে আগামী সোমবার থেকে দেশে বৃষ্টির প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের ওপর মৌসুমী বায়ুর (বর্ষা) সক্রিয়তা অনেকটাই কমে গেছে। আগামী দু-দিনও আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে, সেখানে ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আষাঢ় মাস আসার পর এত কম বৃষ্টি আর হয়নি। শুক্রবার আষাঢ়ের ২৫ তারিখ। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় আকাশে রোদ ও মেঘের খেলা। একবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও এসেছিল।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘আজকে ও কালকে- এই দুদিন বৃষ্টি একটু কম থাকবে। তবে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সিলেট ও রাঙ্গামাটিতে বৃষ্টি একটু বেশি থাকবে। অন্যান্য অঞ্চলে এই দু-দিন বৃষ্টিপাত কম থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘এরপর ১২ জুলাই থেকে বৃষ্টি একটু বাড়তে পারে কারণ তখন মৌসুমী বায়ুটা সক্রিয় হবে। তখন দেশের মধ্যাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।’ আগামী রোববারের দিকে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে জানিয়ে ওমর ফারুক বলেন, ‘সেটা (লঘুচাপ) গঠিত হলে বাংলাদেশ থেকে দূরে হবে। এর প্রভাবটা সেভাবে বাংলাদেশে আসবে না। তবে হালকা প্রভাব পড়তে পারে। এটি নি¤œচাপে পরিণত হবে কিনা সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।’ বর্ষাকালে লঘুচাপ হলে বৃষ্টিপাত বাড়ে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ। শুক্রবার সকালে আবাহওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।