রাজধানীর কাকরাইল থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ১৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ডিএমপি থেকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার প্রধান মাসুদুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যায় কাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আরও তথ্য জানতে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ড চাওয়া হবে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. হায়দার আলী, মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে মাসুম, মো. জামিরুল ইসলাম, মো. বিল্লাল হোসেন , মো. শেখ আরাফাত ওরফে জনি, মো. ইমরুল হাসান ওরফে ইমন, মো. ওবায়দুল ইসলাম ওরফে সুমন , মাহমুদ হাসান ওরফে শরীফ , মো. মাজেদুল ইসলাম ওরফে মুকুল, মো. সোহাগ হাসান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মোজাম্মেল হক, মো. শাহজালাল, মো. আক্তারুজ্জামান , মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে সাব্বির, মো. আবিদ উল মাহমুদ ওরফে আবিদ ও মো. সোহাইল সরদার।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশকে জানায়, জনৈক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মোস্তাক দিন আরমান ২০১৭ সালে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি ইমাম মাহাদির সৈনিক হিসেবে সশস্ত্র জিহাদে যোগদান করেন। ভিডিও বার্তাও প্রকাশ করেন। ওই বক্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে সৈনিক হিসেবে যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন গ্রেপ্তাকৃতরা।
‘তাদের ইচ্ছা ছিল তাবলিগ পরিচয় দিয়ে সাতক্ষীরা বা বেনাপল সীমান্ত হয়ে ভারত-কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে সৌদি আরবে পৌঁছাবে। সেজন্য ১৮ মার্চ তারা প্রথমে সাতক্ষীরা এবং পরে যশোর সীমান্তের কাছে বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করেন। কিন্তু সেদিক দিয়ে সীমান্ত পার হতে না পেরে ঢাকা হয়ে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সেজন্যই তারা ঢাকায় এসে কাকরাইল এলাকায় অবস্থান করছিল।’
এমআর/প্রিন্স