জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের প্রায় ১০ গ্রামের আবাদি জমি মানবসৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। ওই এলাকার পানি নিষ্কাষনের একমাত্র সরকারি খাল জোরপুর্বক বন্ধ করায় সৃষ্টি হয়েছে জলাব্ধতার। শনিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন ওই এলাকার শত শত কৃষক। স্থানীয়দের অভিযোগ ও সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার প্রাচীনতম কুড়ি বিলের পানি নিষ্কাষনের জন্য সরকারি জমির উপর একটি খাল রয়েছে। ওই খাল দিয়ে আশ-পাশের ১০ গ্রামের পানি প্রবাহিত হয়ে থাকে। ওই এলাকার প্রভাবশালী মো. জালাল উদ্দিন নিজস্ব পুকুর খোদাই করায় ওই খালের মুখ বন্ধ করায় সৃষ্টি হয়েছে ব্যপক জলাবদ্ধতা। ওই এলাকার আদিবাসীদের শত শত একর আমন ধানের বীজতলা বিনষ্ট সহ চারা রোপনে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় আমন ফসল থেকে বঞ্চিত হবে আদিবাসী কৃষকগন। এই মৌসুমে আদিবাসী কৃষাণ-কৃষাণীর কর্মচাঞ্চল্যে দিনভর মুখরিত হয়ে থাকলেও জলাবদ্ধতার কারনে মুখ থুবরে বসে আছে তারা। এই আমন ফসল মাড়াতে না পারলে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে ঝুকির মুখে পড়তে হবে তাদের। খালের মুখ বন্ধ করায়, সামন্য বৃষ্টি হলেই আদিবাসী গ্রাম সহ আশ-পাশের গ্রাম গুলোতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে দেখা দেয় নানা রোগ বালাই। এনিয়ে অতিষ্ট হয়ে এলাকার শত শত কৃষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এক অভিযোগ দায়ের করেন। পাথারিয়া এলাকায় পুকুর খননের কারনে খালের মুখ বন্ধ করা নিয়ে মুঠোফোনে মো. জালাল উদ্দিন জানান, আমি আমার জায়গায় মাটি ফেলে ভরাট করেছি। কার কি অসুবিধা হলো তা আমার দেখার বিষয় নয়। এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আলতাবুর রহমান কাজল বলেন, জলাবদ্ধতার কথা শোনার পর ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। এলাকার শত শত একর আমন ধানের বীজতলায় জলাবদ্ধতা এবং দরিদ্র আদিবাসীদের কথা ভেবেই পানি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে জালাল কে বলেছি। আশা করছি বিষয়টি শেষ হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, ব্যাক্তিস্বার্থে সরকারি খাল ভরাট করে মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করার কোন বিধান নাই। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। কৃষিপ্রধান এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে কৃষকদের ক্ষতি করতে দেয়া হবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।