করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটিতে সীমিত ব্যাংক লেনেদেন সময় আধা ঘন্টা বাড়িয়ে সময়সূচি পরিবর্তন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সময় সূচি অনুযায়ী, সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত গ্রাহক লেনদেন করতে পারবে।
এর মধ্যে নামাজের জন্য ১৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। আর ব্যাংক খোলা থাকবে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এটা মূলত পবিত্র রমজান, ঈদ-উল-ফিতর এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দৈনিক ব্যাংকিং লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে বেলা ১টা ১৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যোহরের নামায়ের বিরতি থাকবে। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য শাখা ও প্রধান কার্যালয় বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
অনলাইন সেবা আছে এমন ব্যাংকগুলো গ্রাহকের সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শাখা খোলা রাখবে। তবে যেসব ব্যাংকের অনলাইন সুবিধা নেই তাদের সব শাখা খোলা রাখতে হবে। জেলা সদর জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান বিবেচনায় ব্যাংকের শাখা অন্তত একটি খোলা রাখতে হবে।
মহানগর ও বিভাগীয় পর্যায়ে সব এডি শাখা ( যেখানে বৈদেশিক লেনেদেন সম্পূর্ণ হয়) খোলা রাখতে হবে। তবে দেশের অন্যান্য এলাকায় নিজস্ব বিবেচনায় নির্বাচিত এডি শাখা খোলা রাখতে হবে। দেশের বাণিজ্যিক এলাকায় রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশা এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদে অবস্থিত সব তফসিলি ব্যাংক খোলা রাখতে হবে। শ্রমঘণ শিল্প এলাকায় সব ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।
এছাড়া সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় খোলা রাখতে হলে স্থানীয় প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন প্রদত্ত ঘোষণা অনুসারে লকডাউন এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে একটি শাখা খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
এটিএম ও কার্ড ভিত্তিক লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে এটিএম বুধগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবারহ ও সার্বক্ষণিক চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য খোলা রাখা শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব (ডব্লিউএইচও এর গাইডলাইন অনুযায়ী) বজায় রাখার বিষয়য়ে নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।
এমআর/প্রিন্স