মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়াণ প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আশিদ্রোন ইউপি’র ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ণ প্রকল্পের মোহাজিরাবাদ প্রকল্প নিয়ে সুবিধাবোগীদের কাছ থেকে আমার বিরুদ্ধে ১০ হাজার করে অর্থ নেয়ার মিথ্যাচার করছে। গত ৫-৬ দিন পূর্বে বেগুনবাড়ি প্রকল্পে গিয়ে গণমাধ্যম পরিচয়ে তিমির বনিক ও আরো কয়েকজন সুবিধাভোগীর কাছে গিয়ে ‘ভাঙ্গা ঘর, চাল দিয়ে পানি পড়ে’ এসব কথা শিখিয়ে বক্তব্য গ্রহন ও বিদ্যুতের লাইনের ছিদ্র খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বড় করে ছবি তোলে। পরে শিখিয়ে দেয়া এসব বক্তব্য ও ছবি প্রচার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করে। ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্প বিনা মূল্যে দরিদ্র ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এখানে কারো কাছে কোন প্রকার অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, সম্প্রতি ফাহিমা নামে এক সুবিধাভোগীকে পৌর প্রেসক্লাব নামে একটি সংগঠনের অফিসে ডেকে বরাদ্দ বাতিলের ভয় দেখিয়ে তিমির বনিক ও তার অপর সহযোগী মিথ্যা তথ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী সুবিধাভোগী অভিযোগ করেন, তিমির বনিক নিজেকে ঢাকার বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে তার আইডিতে পোষ্ট দেয়। আমরা ২ ঘর পেয়েছি এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকাও দাবী করে। ফাহিমা বেগম বলেন, ২০১৬ সালে জায়গা আছে ঘর নেই এমন একটি সরকারী প্রকল্পে আমার বাবা আলী হোসেন শেখ একটি টিন শেডের ঘর বরাদ্দ পান। তিনি মারা যাবার পর সেখানে মা বসবাস করছেন। বর্তমানে আমি এবং আমার দরিদ্র ভূমিহীন ভ্যানচালক স্বামী মো. জাকির হোসেন আশ্রায়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বরাদ্দ পাই। ইউপি সদস্য সংবাদ সম্মেলনে জানান, আশ্রায়ণ প্রকল্পের জমি উদ্ধারকালে দীর্ঘদিন যাবত সেখানে হালিমা বেগম ও তার বিবাহিত ছেলে কাইয়ূম মিয়ার আলাদা দুটি পরিবারের ৩টি বসত ঘর ছিল। সরকারি খাস জমি উদ্ধার অভিযানের ফলে পরিবার দুটি গৃহহীন হয়ে পড়েন। প্রশাসন থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু হালিমা বেগমকে একটি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। এতে করে হালিমা বেগমের ছেলে কাইয়ুম মিয়া ভূমিহীন পড়লেও প্রশাসন থেকে তাকে কোন ঘর দেয়া হয়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে বীরঙ্গনা শীলা গুহসহ ১০-১২ জন সুবিধাভোগী সুবিধাভোগী উপস্থিত ছিলেন।