চট্টগ্রাম লোহাগাড়ায় আধুনগর রশিদেরঘোনা ৪নং ওয়ার্ডে এক বনখেকো ভূমিদস্যু কর্তৃক যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করেছে স্থানীয় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। এতে সুরাহা না পাওয়ায় এলাকার জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের দানা বাঁধছে। ভূমিদস্যু হারুন ওরফে হারুন মাঝি আধুনগর ৪নং ওয়ার্ডের আদর্শ পাড়ার মৃত তরীকত উল্লাহর পুত্র। সূত্র মতে রশিদেরঘোনা শাহ্ বদিউর রহমান সড়কে পাগলীরছড়া খালের ব্রীজ সংলগ্ন চলাচলের রাস্তা কেটে জমি বানানো এবং রশিদেরঘোনা পুলের গোড়া সংযোগ সড়কে মাছের প্রজেক্ট করে রাস্তায় কাদা মাটি ফেলে ক্ষেত রোপণ করে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। এখানকার দু’টি রাস্তা দিয়ে হাজার হাজার জনসাধারণ চলাচলে এবং রশিদেরঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রশিদেরঘোনা উচ্চ বিদ্যালয় ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী ও মসজিদের মুসল্লীদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী বাসিন্দা মাষ্টার জাকারিয়া ও আমিন সওদাগর জানান, “হারুন মাঝির সামাজিক অত্যাচার ও জুলুমে এলাকাবাসী নাভিশ্বাস ফেলছে। সে নেশা করে এবং মাদকসেবীদেরকে নিয়ে এলাকার গরীব অসহায়দের জায়গা-জমি জোরর্পূর্বক দখল করে রেখেছে।” আরেক স্থানীয় ভুক্তভোগী সিরাজ বলেন, ভূমিদস্যু হারুন সিন্ডিকেট করে স্ট্যাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে বসতবাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালানোর পর সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে।” এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, “হারুন মাঝির বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মাঝে নানান রকম জালিয়াতির, জায়গা-জমির এ পর্যন্ত মোট ৭টি নালিশ আমার কাছে আছে। ব্রীজ সংলগ্ন রাস্তা কেটে জমি বানানো, মাছের প্রজেক্টের কাদামাটি দিয়ে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির সরেজমিনে তাকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য বারবার বলেছি। সে তা কর্ণপাত না করে উচ্ছৃঙ্খলভাবে মানুষকে হয়রানিতে মেতে উঠেছে। তার বিষয়ে আমি আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি।” রশিদেরঘোনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, আধুনগর ইউনিয়ন সহ-সভাপতি মাস্টার বজলুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, “হারুন মাঝি নামক ব্যক্তি দুষ্টপ্রীতি। সে অভাবনীয় জনসাধারণকে ফাঁদে আটকিয়ে বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে জায়গা-জমি দখল করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। যাতে সমাজ বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় ভুগছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় পরিষদের যথাযথ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।” এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুন মাঝির সাথে যোগাযোগকরা সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়।