মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০১:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
দৃষ্টিনন্দন নতুন সড়কে বদলে যাবে ফরিদগঞ্জ চান্দ্রা-সেকদি-টুবগি এলাকার সূর্যগিরি আশ্রম শাখার উদ্যোগে দক্ষ জনশক্তি গঠনের আলোকে সেলাই প্রশিক্ষণ উদ্বোধন নগরকান্দা ও সালথায় দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আজ রাউজানে সার্বজনীন পেনশন স্কিম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবহিতকরণ সভা রাঙ্গামাটিতে ইউপিডিএফ’র ডাকা আধাবেলা অবরোধ পালিত শেরপুরে কলেজ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সমাবেশ ও আলোচনা সভা সোনাগাজীতে স্কুল ভবন নির্মাণে বাধার অভিযোগে মানববন্ধন চট্টগ্রামে চুয়েটের সাথে তিনটি সংস্থার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কমিশন ভাবছে না: ইসি আলমগীর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

দ্বিগুন হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সীমানা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

১৯ বছর পর দ্বিগুণের বেশি স¤প্রসারিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে ছোট মহানগর সিলেট সিটি করপোরেশন। সোমবার স¤প্রসারণ প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। ফলে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে শুরু হওয়া সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ বর্গকিলোমিটারে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, এখন সিসিকে অন্তর্ভুক্ত এলাকাসমূহকে ওয়ার্ডে বিন্যাস করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যান্য কাজ শেষে গেজেট প্রকাশ হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ১০ আগস্ট সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম।
মূলত সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আয়তন বাড়ানোর প্রক্রিয়া ২০১৪ সালে শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ২০১৪ সালের ২২ জুলাই স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে এ আবেদন করেন আরিফ। একই বছরের আগস্ট সিনিয়র সহকারী সচিব সরুজ কুমার নাথ সীমানা পরিবর্তন, স¤প্রসারণ এবং সংকোচন বিধি অনুযায়ী তথ্যাদি উল্লেখসহ পুনঃপ্রস্তাব প্রেরণের অনুরোধ করেন।
এরপর ২০১৫ সালে দেশে আসার পর থেকেই সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একেএ মোমেন সিটি করপোরেশন এলাকা বর্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ ও এশিয়ান মহাসড়কের মাঝামাঝি ১৮০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি।
এরপর ২০১৫ সালের ২৩ জুন নগরীর আয়তন প্রায় ছয়গুণ বৃদ্ধির একটি প্রস্তাবও জমা দেয়া হয়েছিল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে। তবে চা বাগান, জলাশয়, হাওর সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে রাখতে গিয়ে দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা যায়নি বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের আগস্ট মাসে সিটি করপোরেশনের নতুন অন্তর্ভুক্ত এলাকার তালিকা প্রকাশ করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসন থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সিলেট সদর উপজেলার চারটি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বেশ কিছু মৌজা।এর মধ্যে রয়েছে সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ারচর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ছাড়া), খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খ-, টিলাগড়, দেবপুর, কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর প্রথম খ-, টিলাগড় ও দেবপুর। দক্ষিণ সুরমার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি, মণিপুর, আলমপুর, গোটাটিকর, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি, গোধরাইল এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ), বলদী (কয়েকটি দাগ) মৌজাগুলো নতুন করে সিলেট সিটির অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়। নতুন আওতাভুক্ত অধিকাংশ এলাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি না থাকায় সিটি এলাকা বর্ধিত করার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য উপস্থাপন করা হয়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com