রংপুরের গঙ্গাচড়ায় এক সময়ে শিমুলের টকটকে লাল ফুল জানান দিতো ফাগুনের আগমনী বার্তা। তখন এই শিমুলের গঙ্গাচড়াসহ দেশের সর্বত্রই দেখা মিলতো। এখন আর সচরাচর চোখেই পড়ে না। কালের পথ পরিক্রমার প্রকৃতি হতে যেন বিলীন হতে চলছে চিরচেনা শিমুল গাছ। উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, এক পর্যায়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পশ্চিম পার্শ্বে শিমুল গাছটি। শিমুল গাছ সম্পর্কে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, চারা উৎপাদন না করে যদি আমরা শিমুল গাছ কেটে ফেলি পরিবেশ একদিকে যেমন ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে অপর দিকে উপকারি শিমুল গাছ কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, অতিদ্রুত সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে শিমুলের চারা উৎপাদন, গাছ রোপন এবং সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। না হলে ভবিষ্যতে প্রজন্ম শিমুল গাছ নামে যে কোন গাছ ছিল তা জানতেই পারবে না। এর আগে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সরকারিভাবে শিমুল গাছে চারা রোপন করা হয়েছিল। সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে এর চারা উৎপাদন করে সংরক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে।