টোকিও অলিম্পিকে শুরু হলো ‘জঙ্গি’ বিতর্ক। আজ শনিবার ইরানের মার্কসম্যান জাভাদ ফারোহিকে ‘জঙ্গি’ বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ান শ্যুটার জিন জং ওহ। পাশাপাশি অলিম্পিক কমিটির উপর তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। গত শনিবার ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছেন ফারোহি। এই ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ জিন জং। কোরিয়া টাইমস জানিয়েছে, জিন জং গত বুধবার নিজ দেশের বিমানবন্দরে নেমেই মিডিয়াকে বলেন, ‘একজন জঙ্গি কী ভাবে প্রথম হতে পারে? এটা আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ঘটনা!’
২০১২ সালে আয়োজিত লন্ডন অলিম্পিকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন জিন জং ওহ। ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে রুপোর পদক জয় করেছিলেন তিনি। তবে টোকিও অলিম্পিকে কোয়লিফিকেশন লেভেলের পর তার যাত্রা শেষ হয়। তবে সে সময় তিনি প্রতিবাদ করেননি। ‘ইউনাইটেড ফর নাভিদ’ নামের ইরানের একটি হিউম্যান রাইটস অ্যাথলেটিক অর্গানাইজেশন ফারোহিকে ‘জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার পর কোরিয়ান শ্যুটার এ নিয়ে মুখ খোলেন।
ইরানের সেই সংস্থার প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘অলিম্পিকের মঞ্চে মার্কসম্যান জাভাদ ফারোহির স্বর্ণপদক জয় ইরানের ক্রীড়াজগতের কাছে ভয়াবহ বিপর্যয়। আন্তর্জাতিক স্তরেও বিষয়টি ভয়ংকর। এতে অলিম্পিক কমিটির সম্মান নষ্ট হয়েছে। কারণ, ৪১ বছরের ফারোহি বর্তমানে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই বিষয়টি নিয়ে আইওসি তদন্ত করুক। যতদিন না বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শেষ হয়, ততদিন অবধি স্বর্ণপদক প্রত্যাহার করা হোক।’
উল্লেখ্য, ৪১ বছরের ইরানিয়ান স্পোর্টসম্যান জানিয়েছিলেন তিনি ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সিরিয়াতে নার্সের কাজ করেছেন। আর সেই কারণেই পোডিয়ামে তাকে মিলিটারি স্যালুট দেওয়া হয়। কিন্তু ইরানের সেই মানবাধিকার সংস্থার দাবি, জাভাদ আসলে জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক রেভোলিউশনের গার্ড কর্পস’-এর সক্রিয় সদস্য। বিষয়টি নিয়ে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অলিম্পিক কমিটি কোনো বিবৃতি দেয়নি। এমনকী জাভাদ ফারোহিও তাকে জঙ্গি বলার প্রতিবাদে কোনোরকম মন্তব্য করেননি।