আজকাল অ্যাসিডিটির সমস্যাটাকে খুব মামুলি বিষয় হিসাবে দেখা হয়। কর্মব্যস্ত জীবনে এটাকে ‘পার্ট অব লাইফ’ বলেন কেউ কেউ। কিন্তু অ্যাসিডিটির জন্য নিয়মিত ওষুধ খেয়ে গেলে শরীরে অন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, যা অনেকেই তোয়াক্কা করেন না। বুকজ্বলা, অ্যাসিডিটির হলেই মুঠোয় মুঠোয় ওষুধ খাওয়া মোটেও ভালো লক্ষণ নয়। সমান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই দিন কয়েকের মধ্যেই পাবেন অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি।
পাকস্থলীর গ্যাসট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের ফলে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা হয়। সাধারণত অনেকক্ষণ খালি পেটে খাকলে, অতিরিক্ত চা, কফি খেলে বা অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা ইত্যাদি কারণে পেটে গ্যাস হতে পারে। অ্যাসিডিটির কারণেই পেট ফুলে ওঠে, ঢেঁকুর ওঠে, বুকজ্বলা করে এবং পেটের অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়।
১.যখনই অ্যাসিডিটির সমস্যা বোধ করবেন, তখনই চেষ্টা করবেন ঠাণ্ডা পানি পান করতে। এ সময়টাতে কোমল পানীয় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কফি না খাওয়ার চেষ্টা করুন। সাইট্রাস ফল থেকে দূরে থাকুন। এতে পেটে গ্যাস আরো বাড়বে। বরং দুধ-চিনি ছাড়া হার্বাল চা পান করতে পারেন।
২.ঘন ঘন পেটে গ্যাস হওয়ার প্রবণতা থাকলে প্রতিদিন কলা ও তরমুজ খেলে উপকার পাবেন। এমন পরিস্থিতিতে শসাও বেশ উপকারি। আদা খেলেও অ্যাসিডিটিতে আরাম পাওয়া যায়। তাই বাড়িতে আদার গুঁড়া রাখতে পারেন। ৩.অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন, লবণ, তেল, মরিচ দেওয়া খাবার অর্থাৎ বেশি বেশি মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না। সবচেয়ে ভালো হলো শাকসবজি খাওয়া। আর অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে দীর্ঘ সময় ক্ষুধার্ত থাকবেন না। ক্ষুধা লাগলেই পুষ্টিকর কিছু খেয়ে নেবেন। ৪.ডাবের পানি পেটের গ্যাস কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হঠাৎ পেটে গ্যাস হয়ে গেলে এক গ্লাস ডাবের পানি শরীরের ভেতর জ্বালা ভাব দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রতিদন নিয়ম করে এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খেলেও এই অসুবিধা অনেকটা কমে যায়।
৫. বদল আনতে হবে খাওয়াদাওয়ার নিয়মেও। অসময়ে এবং অনিয়মিত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে রাতের খাবার খেতে হবে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে। খাওয়ার পরই শুয়ে পড়বেন না। ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এতে ভালো উপকার পাবেন। ৬.ধূমপান, মদ্যপান, দুধ চা, কফি এবং অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ এড়িয়ে চলুন। নিজেকে অযথা স্ট্রেস থেকে দূরে রাখুন। বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। এতে স্বাস্থ্যের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে।