শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ অপরাহ্ন

পাকা ঘরে ঠাঁই পাচ্ছে ২শত ৭৭ টি পরিবার

আবু তাহের আনসারী তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৫ আগস্ট, ২০২১

দেশের একজন মানুষও ভ’মিহীন ও গৃহহীন হয়ে থাকবেনা, প্রত্যেক ভ’মিহীন,গৃহহীন পরিবার পাবে পাকা ঘর। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষনা বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসন। কেবল শুধু গৃহহীন-ভুমিহীনই নয়,সরকারের এসকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টি বাসিরাও। এক সময়ের সুবিধা বঞ্চিত,অবহেলিত,এই অসহায় মানুষ গুলোর ছিলোনা নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। ভাঙ্গা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতে হতো তাদের। কিন্তু বর্তমান সরকারে বিশেষ উদ্দ্যোগ গ্রহনে মাথা গোজার ঠাইসহ নানা উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে তাদের জীবনমান। এখন তারা অনেকটায় সাফল্যের দ্বোরগোড়ায়। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তেঁতুলিয়া উপজেলায় গৃহহীন.ভ’মিহীন মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২০-২১ অর্থ বছরে জেলায় মোট ২৭৭ টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘর ১লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মান করা হয়। তবে এর মধ্যে বাদ পড়েনি ভিক্ষুক ও ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টিরাও। এক সময় এসব অসহায় মানুষগুলোর ছিলোনা কোন মাথা গুজার ঠাই, পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে ভাঙ্গা কুটিরে শীত,বৃস্টিকে সঙ্গি করে জীবন যাপন করতে হত তাদের। কষ্ট লালিত সে সকল সুবিধা বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য উন্ন্য়নে বিষেশ ভুমিকা রাখছে সরকার। পরিবার পরিজন নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে থাকার কষ্টের পরিবর্তনে দেয়া হয়েছে নতুন পাকা ঘর। এক সময়ের আশ্রয়হীন কষ্ট সহ্য করা মানুষগুলো এখন খুশি নিরাপদ টেকসই মজবুত পাকা স্থায়ী ঘর পেয়ে, যেন নিজেদের অধরা স্বপ্নের বাস্তবায়ন।এতে বাদ পড়েনি ভিক্ষুকরাও। যা আশাতীত ভাবে নতুন উদ্দিপনার সঞ্চার করছে এলাকার দরিদ্র মানুষগুলোর। ভ’মিহীন,গৃহহীন- ক্ষুদ্র-নৃগোষ্টি মানবতার জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা অনেক সুখে,আনন্দে স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছে এমনটি জানান উপকার ভোগিরা। তেঁতুলিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমি নেই ঘর নেই এমন ‘ক’ তািলকাভূক্ত পরিবারের সংখ্যা ১৩৫, ১০ শতাংশ পর্যন্ত জমি আছে কিন্তু ঘর নেই এমন ‘খ’ তালিকাভূক্ত পরিবারের সংখ্যা ১৪২ । প্রথম দফায় ‘ক’ তালিকাভূক্ত ১৩৫ টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় দফায় দেয়া হয়েছে ১৪২টি পরিবারকে ঘর। আর মানুষের জমিতে খড়ের ঝুপড়ি ঘরে বাস করতে হচ্ছে না তাদের। রাতে ভাঙা চালার ফাঁকে চাঁদও দেখতে হবে না। সেমিপাকা ঘর এখন তাদের নিজেরই হয়েছে। হয়েছেন জমির মালিকও। মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এই ঘরে রয়েছে এটাচ্ড বাথরুমসহ দুইটি কক্ষ। থাকছে রান্নাঘর ও বারান্দা। ব্যবস্থা করা হয়েছে সুপেয় পানির। প্রতিটি পরিবারের জন্য দেয়া হয়েছে একটি করে টিউবওয়েল। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এসব ঘরে ঠাঁই হয়েছে তেঁতুলিয়া উপজেলার ২৭৭ টি পরিবারের। পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের খয়খাটপাড়া গ্রামে নির্মাণ করা হয়েছে ২৯টি ঘর। সব ঘরেই পরিবার পরিজন নিয়ে উঠেছে এখানকার নিবাসীরা। পার্শ্ববর্তি তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের রাস্তার পাশে টিনের ছাপড়া দিয়ে বাড়ি তৈরী করে বসবাস করতেন আবু হানিফ(৫৫)। তিন মেয়ের সবাইকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা জায়গায় বাড়ি করে সংসার করছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর স্ত্রী সেলিনা বেগমকে নিয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরিবের বন্ধু। আমরা দোয়া করছি মহান আল্লাহতায়ালা যেন তাকে বহু দিন বাচিয়ে রাখেন। তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এক সাথে এতগুলো গৃহহীন মানুষকে সেমিপাকা ঘর প্রদান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বিশে^র আর কোন দেশে এক সাথে এতগুলো গৃহহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ের ব্যাবস্থা করা হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উপযুক্ত সুবিধাভোগী বাছাই করে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এখানে বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র নৃত্বাত্বিক জনগোষ্ঠি,ভিক্ষুকসহ প্রকৃত গৃহহীন মানুষদের ঘর প্রদানের চেষ্টা করেছি এবং সরকারের প্রাক্কলন অনুযায়ী তাদের ঘর নির্মাণের খরচ করা হয়েছে। এটি সরাসরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদানকৃত বিশেষ প্রকল্প। এজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা হচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com