করোনার টিকা নিয়ে সরকার নাটক করছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রথমে সরকার বলল ৭ দিন গণটিকা দেয়া হবে। পরে বলেছে একদিন গণটিকা দেবে। কিন্তু এটির কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। আসলে সরকার যেটা বলবে তার উল্টোটাই হবে এবং উল্টোটা আমরা দেখতে পারছি। গতকাল শুক্রবার সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় এ কথা বলেন তিনি। বিএনপির পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব’-এর ৩২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মাজার জিয়ারত করা হয়। রিজভী বলেন, টিকা নিয়ে কত নাটক হয়েছে এবং কত যে নাটক হচ্ছে। মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে নিতে সরকারের এমন কোনো প্রচেষ্টা নেই, যা করা হচ্ছে না। আজ টিকা নিয়েও যে ভয়ংকর দুর্নীতি হচ্ছে তা শুধুমাত্র সরকার দলীয় লোকদের আঙুল ফুলে কলাগাছ করানো জন্য। বিশেষ করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে করোনার কোনো চিকিৎসা নেই বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, না আছে আইসিইউ, না আছে অক্সিজেন সরবরাহ, না আছে ঔষধপত্র। একটা মরণ বদ্ধভূমিতে পরিণত হয়েছে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে। সত্যিকারের যদি সরকার থাকতো এমনটা হতো না। দেড় বছর সময় পেলেন, কেন জেলা পর্যায়ে হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ হয় না? সেখানে কেন প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র নেই। এটার কারণ একটাই- লুটপাটের ভাবধারায় অনুপ্রাণিত সরকার কখনোই জনগণের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসবে না।
একটা সিন্ডিকেট করোনা সংক্রান্ত সমস্ত কেনাকাটায় মোড়লগিরি করছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতি পঙ্কিলতায় সমস্ত হেলথ কেয়ার সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অসুস্থ মানুষ, আক্রান্ত মানুষ কী করে সেবা পাবে? এন৯৫ মাস্কের যে প্যাকেট সেই প্যাকেট খুলে দেখা যায় যে সার্জিক্যাল মাস্ক। এটা আমার বক্তব্য নয়, এটা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন যে সংস্থাগুলো কাজ করছে, যারা পর্যবেক্ষণ করছেন তারা বার বার এইসব রিপোর্ট দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যখাতে প্রত্যেকটি কেনা-কাটায় ভয়ংকর দুর্নীতি হচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, সরকার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা তেলেসমাতি কথা-বার্তা বলছে- এই করছি, ওই করেছি। পৃথিবীর শীর্ষ ২৫টি করোনায় আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২১তম। একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুস সালাম, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শহিদ হাসান, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান, নিলুফা ইয়াসমীন প্রমুখ।