বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
কয়রায় সড়কের কাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা, জনদুর্ভোগ চরমে ধনবাড়ীতে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ঢেঁকি মৌলভীবাজার জেলার ৫ উপজেলা ও ৫ পৌর শাখা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন নড়াইলে তারুণ্যের উৎসবে বালক-বালিকাদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা লোহাগাড়া প্রেসক্লাবের উদ্যােগে পত্রিকার হকার ও অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কালকিনিতে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুর্ধ্ব ১৭ এর ফাইনাল ম্যাচ নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াজেদকে ফুলেল শুভেচছা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান শ্রীমঙ্গলে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে লাখ টাকা জরিমানা শিক্ষকের দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং সাবেক এমপি’র তারাকান্দায় তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মশালা

নিজেকে পরিশুদ্ধ করার মাস মহররম

ইসলাম ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১

মহররম শব্দের অর্থ, সম্মানিত বা নিষিদ্ধ। আরবি পঞ্জিকার প্রথম মাস এটি। এই মাসকে আরবি ১২ মাসের মধ্যে সবচেয়ে সেরা মাস হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। এ মাস আমাদের জন্য যেরকম সুসংবাদের তেমনি শোকেরও। এ মাসে পৃথিবীতে বহু ঘটনা সংঘটিত হয়েছে যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তার নিজের কুদরতি প্রকাশ করেছেন। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা বনি-ইসরাইলদের জন্য নদীকে রাস্তা বানিয়ে পার করে দিয়েছেন আবার এদিকে ফেরাউন ও তার সৈন্যবাহিনীকে নদীতে ডুবিয়ে মেরেছেন। এই মাসে হুসাইন রা:-এর শাহাদাতের মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে। এই মাস আল্লাহ তায়ালা কাছেও অনেক মর্যাদাপূর্ণ, তাই আল্লাহর রাসূল সা:-এর কাছেও অধিক সম্মানের। আল্লাহ তায়ালা কুরআন কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২টি যেদিন থেকে তিনি আকাশ ও নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন। তন্মধ্যে চারটি হলো সম্মানিত। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং তোমরা এই মাসগুলোর (সম্মান নষ্ট করে) নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ (সূরা তাওবা-৩৬) তাফসিরের কিতাবে বলা হয়েছেÑ এই সম্মানিত চার মাস হলোÑ মহররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ।’ (তাফসিরে বাগাবি -৪/৪৪)
আবুজর রা: থেকে বর্ণিতÑ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সা:কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, রাতের কোন অংশ উত্তম? এবং কোন মাস উত্তম? তিনি বলেন, ‘রাতের মধ্যে উত্তম হলো গভীর রাত। মাসগুলোর মধ্যে উত্তম হলো আল্লাহর মাস। যেটাকে তোমরা মহররম বলে থাকো।’ (নাসায়ি-৪৬১২) এই আয়াত ও হাদিস থেকে এ মহররম মাসের ফজিলত সুস্পষ্ট হয়। তাই আমাদের প্রত্যেককে আমল করার মাধ্যমে এ মাসের সম্মান হিফাজত করতে হবে, বিনষ্ট করা যাবে না। যেই মাস আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূলের কাছে প্রিয় ও সম্মানের হয়, একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের কাছেও এ মাস সম্মানের হওয়া জরুরি। এখন এ মাসকে আল্লাহর রাসূল ও তাঁর প্রিয় সাহাবায়ে কেরাম কীভাবে সম্মানিত করেছেন তা জানতে হবে এবং আমাদেরকে এ মাস সম্মান করতে হলে কী কী করতে হবে ও বর্জন করতে হবে তাও জানতে হবে। এ নিয়ে কিছু আলোকপাত করব। যেহেতু এ মাস রমজান মাসের মতো অনেক ফজিলতের তাই আমাদের এ মাসকে সম্মান করতে হলে বেশি বেশি নফল রোজা, নামাজ, জিকির-আসকার ও ইস্তিগফার করতে হবে। হজরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিতÑ আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সা: ইরশাদ করেছেন, ‘রমজানের পর সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ রোজা হচ্ছে মহররমের রোজা আর ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হচ্ছে গভীর রাতের নামাজ।’ (মুসলিম-২৬৪৫)
এ মাসে সওয়াব অর্জনের আরেকটি সুবর্ণময় সুযোগ রয়েছে আশুরার রোজার মাধ্যমে। এ মাসের একটি দিনকে আশুরার দিন বলা হয়। এ দিনটি বিভিন্ন দিক থেকেও ফজিলতের। এই দিনে রোজা রাখলে আল্লাহ তায়ালা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের সওয়াব দিয়ে থাকেন, সুবহান আল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আমি আল্লাহর দরবারে আশা রাখি যে, আশুরার রোজায় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ করা হবে।’ (সহিহ মুসলিম) তবে এই মাসকে কেন্দ্র করে বা এ মাসের বিশেষ দিন আশুরাকে সামনে রেখে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা কুসংস্কার পালন করা যাবে না। আতশবাজি, তাজিয়া মিছিল বের করা, নিজের শরীর থেকে রক্ত ঝরানোর মতো জঘন্য ও পরিহারযোগ্য কোনো কাজ করা যাবে না। সুতরাং, একজন সচেতন মুসলিম হিসেবে উচিত হলোÑ এই ফজিলতপূর্ণ মাস মহররমকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে নিজের গুনাহ মাফ ও আমলের ভা-ার সমৃদ্ধি করায় ব্যতিব্যস্ত থাকা। সব ধরনের খারাপ কাজ, কুসংস্কার ও অপসংস্কৃতি থেকে নিজেকে দূরে রাখা। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বোঝার ও সঠিকভাবে আমল করার তৌফিক দান করুক, আমিন। মোহাদ্দিস, জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া, সাভার, ঢাকা ও পরিচালক, বাংলাদেশ নবীন লেখক ফোরাম




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com