শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::

কাঁদো বাঙালি কাঁদো

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১

শোকের মাস আগস্ট। আজ ১৪ আগসট। আগামীকাল রোববার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। শোকের মাসে গত ৫ আগস্ট থেকে মাসব্যাপী শোকের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গত জুলাই মাসের ২৪ তারিখে তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতি বছর আগস্টে মাসে কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়। কিন্তু এবার করোনার ভয়াবহতায় লকডাউনের কারণে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আগস্টের কর্মসূচি সীমিত পরিসরে এবং কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আগামী কালের কর্মসূচি: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল ১১টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দলের শ্রদ্ধা নিবেদন। এ ছাড়াও ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ আগস্ট বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা। ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে সকাল ৯টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ঘরোয়াভাবে আলোচনা সভা।
২৭ আগস্ট জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধান করে সীমিত পরিসরে এসকল কর্মসূচি পালনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংগঠনিক ইউনিটসমূহকে দলের সভাপতির পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। সংক্রমণের উচ্চমাত্রার বিষয়টি মাথায় রেখে এবং কর্মসূচির ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে ঘোষিত কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি সকল সহযোগী সংগঠনসমূহকে সমন্বয় করে নিজস্ব কর্মসূচি পালনের উদাত্ত আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউনে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনের অনিশ্চয়তা বেড়ে যায়। তবুও জীবনের সুরক্ষার প্রয়োজনে জনস্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। করোনার সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করার পাশাপাশি পূর্ণ সতর্কতা বজায় রেখে চলমান বিধিনিষেধ প্রতিপালন করে সংক্রমণের উচ্চমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, আমাদের উদাসীনতায় লাগামহীনভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভয়ানক অবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই জনস্বার্থে এবং জনজীবনের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার এই কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জীবনের প্রয়োজনে বা বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সবাইকে ত্যাগ স্বীকার করে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করার অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, অহেতুক কেউ বাইরে বের হবেন না। শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বিধিনিষেধের প্রয়োজন হতো না। কিন্তু কারো কারো উদাসীনতা এবং ঝুঁকি তোয়াক্কা না করে চলাফেরার কারণে সংক্রমণ পেয়েছে ঊর্ধ্বগতি। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি চলমান লকডাউন কর্মহীন ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com