দশ টন চাল বরাদ্দ

ভারী বর্ষন ও উজানী ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পঞ্চম দফায় আবারো তি¯তার পানি বৃদ্ধির কারনে সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলসহ তীরবর্তী গ্রামে আড়াই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি লোকজনের মাঝে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সরকারিভাবে বন্যাকবলিত মানুষের জন্য তিন ইউনিয়নে ১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম গতকাল সোমবার নোহালী ইউনিয়নের ববন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। জানা যায়, ভারী বর্ষন আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তি¯তার পানি বাড়তে থাকে। পানি বৃদ্ধির কারণে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তি¯তার প্রায় ১৫টি চরে বসবাসকারি প্রায় ২ হাজার ৫’শ পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গতকাল ডালিয়া পয়েন্টে তি¯তার পানি বিপদসীমার(৫২.৬০ সে.মি.) ২ সে.মি.ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম গতকাল সোমবার নোহালী ইউনিয়নের ববন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় সহকারি কমিশনার (ভুমি) নয়ন কুমার সাহা, উপজেলা প্রকল্প বা¯তবায়ন কর্মকর্তা মোনিমুল হক উপস্থিত ছিলেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লক্ষীটারী ইউনিয়নের শংকরদহ, চরইচলী, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, চর মটুকপুর ,বিনবিনা এলাকায় প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ঊঠায় বিনবিনা এলাকায় কিছু লোক গবাদিপশু , বাড়ির আসবাবপত্রসহ রা¯তায় কিংবা উচৃ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব আলী রাজু বলেন, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, উত্তর চিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনা মাঝের চর, সাউদপাড়া ও বাবুরটারী বাঁধেরপাড়. বিনবিনা এলাকায় ১হাজার ৩’শ পরিবার পানিবন্দি। লক্ষ্মীটারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী বলেন , তার ইউনিয়নের শংকরদহ, ইচলি ,জয়রামওঝা ও বাগেরহাট এলাকায় ১ হাজার এবং নোহালী ইউনিয়নে ২’শ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকারিয়া জানান পানি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন গতকাল সোমবার বিকেল ৩ টার দিকে ডালিয়া পয়েন্টে তি¯তার পানি বিপদসীমার ২ সে.মি.ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসলীমা বেগম বন্যাকবলিত এরাকা পরিদর্শন করে এসে জানান, বন্যাকবলিত কোলকোন্দ ইউনিয়নে ৬ টন, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নে তিন টন, নোহালী ইউনিয়নে ১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।