বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) উদ্যোগে রাজশাহীর পবা উপজেলার কেচুয়াতৈল এলাকায় বাস্তবায়নাধীন ‘বিসিক শিল্পনগরী-২’ প্রকল্পের কাজ সম্পন্নের পথে।
পঞ্চাশ একর জমিতে ১৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের প্রায় ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অতিমারী করোনায় (কভিড-১৯) ‘বিসিক শিল্পনগরী-২’ প্রকল্পের কাজের গতি শ্লথ করতে পারেনি। বিসিক-পরিচালনা পর্ষদের সময়োপযোগি মনিটরিং অব্যাহত থাকায় করোনাকালেও প্রকল্পের কাজের গতি দুর্বার হওয়ায় প্রকল্প-কাজ সমাপ্তির পথে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলস্থ বিসিক-সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘রাজশাহীর বিসিক শিল্পনগরী-২’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিসিক’র পরিচালক (প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন) মুহাম্মদ আতাউর রহমান ছিদ্দিকী আজ প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
শনিবার দুপুরে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের কেচুয়াতৈল এলাকায় প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনকালে করেন বিসিক’র রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জাফর বায়েজীদ, এফবিসিসিআই’র পরিচালক মো. শামসুজ্জামান আওয়াল, প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী এএফএম ফাহাদ রেজোয়ান, শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল আজিম সেতুসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
‘রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হায়দার আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিসিক’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজ ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ড্রেনসহ অন্যান্য স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ পুরাদমে চলছে।
রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ভূমি ও ভূমি উন্নয়ন ব্যয় ১০৫ কোটি টাকা। বাকি ৬৭ কোটি টাকায় শিল্প স্থাপনের সকল অবকাঠামো নির্মাণ, রাস্তা, ড্রেন, কালর্ভাট নির্মাণ, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ, সীমানা প্রাচীর, পাম্প হাউজিং, অফিস, পানি সংরক্ষণের জন্য পুকুর ইত্যাদি স্থাপন করা হচ্ছে।
চলতি বছরের (২০২১) ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন-কাজ সম্পন্ন করার কথা। নির্ধারিত সময়েই এ প্রকল্প-বাস্তবায়ন পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহীতে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠা ও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিসিক শিল্পনগরী-২ স্থাপনে রাসিক মেয়র আন্তরিকভাবে কাজ করেন। তাঁর প্রচেষ্টায় অবশেষে ‘রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২’ প্রকল্প অচিরেই আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। আর এটি চালু হলে রাজশাহী অঞ্চলের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পামাপামি বিশেষায়িত একটি শিল্পনগরী স্থাপনের মাধ্যমে রাজশাহীর জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খাও পূরণ হবে।
রাসিক’র মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ২০২০ সালের ৪ জুলাই রাজশাহী বিসিক শিল্পনগরী-২ প্রকল্পের ভূমি- উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। এ প্রকল্পটির কাজ শেষে হলে সেখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে বিসিক’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তরা আশা করছেন।