ধুলোবালির কারণে ডাস্ট অ্যালার্জির সমস্যায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষণ হিসেবে হাঁচি-কাশি, চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়া, ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব়্যাশ এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই নানা ধরনের ওষুধ সেবন করেন। চাইলে ঘরোয়া উপায়েও ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন ডাস্ট অ্যালার্জি রোধের ঘরোয়া দাওয়াই- >> মধু ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা অনুযায়ী, মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও মধুতে থাকা প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জি র্যাশ কমায়।
>> টকদই খেয়েও অ্যালার্জি সারাতে পারেন। কারণ এতে থাকে প্রোবায়োটিক। এই উপাদানটি ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। অ্যালার্জি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়ে থাকে। অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত টকদই খেতে পারেন।
>> আপেল সিডার ভিনেগারও ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এজন্য এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করলে মিলবে উপকার।
>> ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কাটাতে স্টিম নিতে পারেন। এজন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিয়ে তার থেকে নির্গত বাষ্প নাক এবং মুখের সাহায্যে গ্রহণ করুন। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের স্টিম নেওয়ার যন্ত্র বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে কমপক্ষে ১০ মিনিট স্টিম নিন। এতে নাকের বন্ধভাব দূর হবে।
>> আরেকটি উপাদান হলো ঘি। ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসায় ঘি দুর্দান্ত কাজ করে। এজন্য আধা চা চামচ ঘি এর সঙ্গে পরিমাণমতো গুড় মিশিয়ে নিন। অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি ও অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে এক চা চামচ ঘি খেতে পারেন। এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। যা অনুনাসিক পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে ক্রমাগত হাঁচির সমস্যাও সমাধান করে।
>> ডাস্ট অ্যালার্জি সারাতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রাকৃতিক এই ভেষজ উপাদানটি ডাস্ট অ্যালার্জির উপসর্গ কমায়। এজন্য ৩-৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানিতে মিশিয়ে দিনে ২ বার পান করুন। অ্যালোভেরাতে ব্যথানাশক এবং প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে। যা ডাস্ট অ্যালার্জির প্রভাব কমায়। সূত্র: বোল্ডস্কাই