মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের লেনদেনে কড়াকড়ি

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

এখন থেকে পণ্য বা সেবার অগ্রিম মূল্য গ্রাহকের কাছ থেকে সরাসরি নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারবে না কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। গত রোববার (২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঝুঁকি বিবেচনায় তদারকি নিশ্চিতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স¤প্রতি সরকারের জারি করা ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জারি করা নির্দেশনা এড়ানোর উদ্দেশ্যে কিছুসংখ্যক ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যাংক হিসাবে গ্রাহক হতে পণ্য ও সেবা মূল্যের অগ্রিম অর্থ সরাসরি গ্রহণ করছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেনের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা মতে, সরকারের ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১-এর নির্দেশনা অমান্য করে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কোম্পানি বা কোম্পানি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবে পণ্য ও সেবা মূল্যের অগ্রিম বাবদ অর্থ সরাসরি জমা গ্রহণ করা যাবে না। এরূপ ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রদত্ত ট্রানজেকশন প্রোফাইলের যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই, লেনদেনের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ ও সামগ্রিক ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করে লেনদেন পরিচালনা করতে হবে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ই-অরেঞ্জের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত: টাকা আত্মসাৎ করেছে এমন অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিনের সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ফলে আগামী এক মাস মেহজাবিনের নিজের ও প্রতিষ্ঠানের হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন করা যাবে না। গত রোববার (২৯ আগস্ট) বিএফআইইউ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২৩(১)(গ) ধারার আওতায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে গত সপ্তাহে ই-অরেঞ্জ ডট শপ, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সোনিয়া মেহজাবিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুকুর রহমানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল বিএফআইইউ।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে ভ্যাট নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এ নিয়ে ভ্যাট আইনে মামলা হয় ই-অরেঞ্জের নামে। অভিযোগ রয়েছে অগ্রিম টাকা পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না ই-অরেঞ্জ। সঠিক সময়ে পণ্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন এক গ্রাহক। মামলায় ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের মোট ১১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com