বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
নকলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের সমাপনীতে কুইজ বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান দৈনন্দিন জীবনে চলাফেরায় নিজের মর্যাদা অটুট রাখুন কালীগঞ্জে থামছে না কৃষি জমির মাটি কাটা কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় বাদাম চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকরা কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ সারেংকাঠী ও গুয়ারেখা ইউনিয়নে ঢল নেমেছে স্বচ্ছ মনের প্রার্থী আলহাজ্ব আঃ হকের পক্ষে শেরপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র খোকনের দায়িত্ব গ্রহণ অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা বশির আহমদ উপজেলার পর এবার সিলেট বিভাগেরও শ্রেষ্ঠ মাদ্রাসা প্রধান কালীগঞ্জের আল-জাছির হলেন দেশ সেরা কালিয়ায় মক্কীনগর কবরস্থানের উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল

গুমের অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন কমিশন চায় আসক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০২১

গুম। মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অপরাধ। স্বজনরা জানতেও পারেন না প্রিয় মানুষটির শেষ পরিণতি। গতকাল ৩০ আগস্ট সোমবার ছিল আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে দেশে গুম বন্ধ ও এর প্রতিটি অভিযোগ তদন্তে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। কমিশন গঠন ছাড়াও সরকারের কাছে ছয়টি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। অন্য দাবিগুলো হলো: গুমের শিকার সব ব্যক্তিকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া, এ-সংক্রান্ত অভিযোগ দায়েরের জন্য একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং তা ব্যাপকভাবে প্রচার করা, দায়ীদের বিচারের সম্মুখীন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গুমের শিকার ব্যক্তি ও তার পরিবারের যথাযথ পুনর্বাসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, গুমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ স্বাক্ষর করা, গুমের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোকে অস্বীকার না করে এ ধরনের ঘটনার বিচার নিশ্চিতে বিদ্যমান আইন কাঠামোতে পরিবর্তন আনা এবং ‘অপহরণ’ হিসেবে নয়, ‘গুম’কে সুনির্দিষ্ট অপরাধ হিসেবে আইনে অন্তর্ভুক্ত করা।
গুমের মতো ঘটনা প্রতিরোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছেও তিনটি দাবি জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র। সেগুলো হলো: গুমের অভিযোগগুলো নিয়ে অনুসন্ধান করা; নিখোঁজদের খুঁজে বের করা এবং ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯-এ এ ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা থাকলে তা দ্রুততার সঙ্গে দূর করতে সরকারের সঙ্গে জোর যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া, ভুক্তভোগী বা তাদের পরিবারকে আইনি ও নৈতিক সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে একটি জাতীয় শুনানির আয়োজন করা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে আসক জানিয়েছে, ২০০৭ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশে মোট ৬১৪ জন গুমের শিকার হয়েছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন। এঁদের মধ্যে পরবর্তী সময়ে ৭৮ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৯৪ জনকে। ফেরত এসেছেন ৫৭ জন। অন্যদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়নি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com