বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই: আ ক ম মোজাম্মেল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমানকে যেদিন হত্যা করা হয়, তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি তো ছিলেন। একজন রাষ্ট্রপতির সবকিছু ধারণ করা হয়। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাই। কেউ কাউকে বেআইনিভাবে হত্যা করবে এটা সমর্থন যোগ্য নয়। ‘আমি বলেছি, তার লাশ তারা ফেলে রাখে নাই, হত্যাকারীরা সেই লাশ গুম করেছিল, সেই লাশ পায়নি। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, সেই লাশ পাওয়া গেছে, তো ছবি দেখান। রাষ্ট্রপতি ছিল, যদু-মধু-রাম-শ্যাম তো ছিল না। তার তো ডেডবডির একটা ছবি থাকবে।’ মুজিববর্ষ উপলক্ষে গতকাল বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মো. শাহজাহান কবিরের (বীরপ্রতীক) লেখা ‘অপারেশন জ্যাকপট’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। বিএনপির কাছে জিয়ার লাশের ছবি দেখাতে কিংবা চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ দাফনের প্রমাণে ডিএনএ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী। চন্দ্রিমায় জিয়ার লাশ দাফন করা হয়নি বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। এর জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার বলেন, উনি (মোজাম্মেল) নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি-না সেটা আগে প্রমাণ করুক।
ফখরুলের এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, ‘সব কথার তো জবাব দেওয়ার দরকার হয় না। মির্জা ফখরুল ইসলামের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আমার অধীনে যুদ্ধ করেছেন। ওনাকে আমি জিজ্ঞেস করার জন্য বলব। এছাড়া গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকার, ওনাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে আমি খুশি হবো।’
তিনি বলেন, অনেকে বলে ওনার (মির্জা ফখরুল) পিতা কী করেছেন। আমি ব্যক্তিগত বিষয়ে যেতে চাই না। কী করেছেন, সেটা দেশের মানুষকে জিজ্ঞেস করুন। উনি (মির্জা ফখরুল) যে চীনাপন্থী রাজনীতি করেছেন, যারা বলেছিল- আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হচ্ছে দুই কুকুরের কামড়া-কামড়ি। উনি সেই দলের সদস্য ছিলেন। যদিও ওনার ভূমিকা কী ছিল আমার ব্যক্তিগতভাবে জানা নেই। ওনারটা উনি যদি পরিষ্কার করেন। আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেহারাটা ভেসে ওঠে। উনি বোধহয় ওনার চেহারাটা দেখে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, আমার ভূমিকা কী? যাক উনি জেনে নিতে পারেন সহকর্মীদের কাছ থেকে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব বলেছেন- তার পোস্টমর্টেম হয়েছে। পোস্টমর্টেম হলে কোন হাসপাতালে হয়েছে। কে করেছে…তিনি ডা. তোফায়েল সাহেবের নাম বলেছেন। কোন হাসপাতালে হয়েছে…হাসপাতালে যদি নিয়ে গিয়ে থাকতে পারে তবে ছবি তোলা সম্ভব। পোস্টমর্টেমের একটা ফরম্যাট আছে, সেই ফরম্যাটে আছে কি-না সেটা দেখান, প্রকাশ করেন। একটা সাদা প্যাডে একজন লিখে দিলো, পোস্টমর্টেম আমি করেছি, ২২টি বুলেট পেল, কোনো ছবি নেই। তাকে গোসল করিয়েছে, কাফন পরিয়েছে কিন্তু কোনো ছবি নেই।
‘মির্জা ফখরুল বলেন, কফিনের উপর কাঁচ দিয়ে ঢাকা ছিল। উনি কাঁচের মধ্য দিয়ে স্বচক্ষে লাশ দেখেছেন। চোখ দিয়ে দেখলেন, ছবি তুলতে পারলেন না। ছবি তোলার লোক আছে তো। তা না হলে ডিএনএ টেস্ট করুন।’ মন্ত্রী বলেন, ব্যক্তি জিয়ার সঙ্গে আমাদের বিরোধ নয়। আমরা বলছি ইতিহাসের মিথ্যাচার নয়। জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে, যে কোনোখানেই কবর দেওয়া হোক, মানুষ সম্মান জানাতে চায়, সে সম্মান জানাতে পারবে। কিন্তু তার লাশ যদি না থাকে সেটাকে যদি কবর বানিয়ে সম্মান দেখানো হয়, এটা হলো ইতিহাসের বিকৃতি। আমরা ইতিহাসের বিকৃতি বন্ধ করতে বলছি।
জিয়াকে হত্যার পর অল্প কিছু সময় চট্টগ্রাম হত্যাকারীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে বিএনপি সরকারই প্রতিষ্ঠিত ছিল। তাই ছবি তোলার সুযোগ ছিল। তিনি বলেন, সারা বাঙালি জাতি ১৯৭০ সালে ম্যান্ডেট দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে নেতা বানিয়েছে। আর কোথাকার কোন জিয়া, যার নাম জীবনে কেউ শোনেনি, সে একটা ঘোষণা (স্বাধীনতার ঘোষণা) পাঠ করেছে। তাও তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে, এর আগে আরও দু-জন পাঠ করেছে। তাকে মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বানিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করেছে। ইতিহাস বিবৃতি তারা করেছে। এটা তাদের ধারাবাহিকতা। সংসদ ভবন থেকে জিয়ার কবরসহ অন্যান্য কবর ও স্থাপনা সরিয়ে দেওয়ার জন্য আপনারা অনুরোধ জানিয়েছেন, সেটার অগ্রগতি কতদূর- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সেটা মাননীয় স্পিকার বলবেন। অগ্রগতি আমার জানা নেই।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com