দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে আওয়ামী লীগের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতা দখল করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলো। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশে আওয়ামী লীগের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ। অর্থাৎ বিএনপি নির্বাচনে জেতার লক্ষ্যে নয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি জনগণের উপর দায় চাপায়। নিজেদের পরাজয় আড়াল করার লক্ষ্যে নির্লজ্জভাবে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষেদাগার করে আসছে।
তার দাবি, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির উপর শুরু থেকেই বিএনপির কোনো আস্থা নেই। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান অবৈধ, অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নির্বাচন ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছিলো। এরপর যতোবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, ততোবারই বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে, অসাংবিধানিক উপায়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে নতুন নির্বাচন কমিশন। একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘সার্চ কমিটি’র মাধ্যমে বাছাই করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বিএনপি নেতাদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাই।