প্রতিবছরেই ভাঙ্গছে ব্রম্মপুত্র নদ, সম্বলহীন হয়ে যাচ্ছে জমি জমা, ঘরবাড়ি, গরু ছাগল, গাছ পালা হারিয়ে অসংখ্য মানুষ অন্যের বাড়ি, গুচ্ছ গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে কষ্টে বসবাস করছে। এ বছরেইও বর্ষা ও বন্যার শুরুতেই উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এসে পানি বৃষ্টির সাথে সাথে রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি হয়ে মহনগঞ্জ ইউনিয়নের শেষ পর্যন্ত এলাকায় তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। বিলিন হচ্ছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিস্তীর্ণ জনপদ। নদী ভাঙ্গনে পাল্টে যাচ্ছে ২ উপজেলার মানচিত্র। ভাঙ্গন এলাকার মানুষের অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে সরকার বারবার অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। রৌমারী সাহেবের আলগা হতে রাজিবপুর মহনগঞ্জ পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন রোধে বামতীর সংরক্ষণ কাজ চলমান রয়েছে যাহা ৭.৩ কিলো মিটার। এতে বরাদ্দ ৪শত ৭৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তেমন কোন কার্যকরি পদক্ষেপ না থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগণ কাজ বন্ধ করে লাপাত্তা। এদিকে নদী ভাঙ্গনে তোর জোর দেখা দিলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি, পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামসহ প্রমুখ নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে গুরুত্বপুর্ণ ভাঙ্গন স্থানে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ বস্তা ভর্তি বালু ফেলার বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। জিও ব্যাগ বন্তাভর্তি বালু ফেলার কাজ চলমান। বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার, আবু বক্কর মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান, সাবেক চেয়ারম্যান কে এম ফজলুজ মন্ডল, দলীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেকে জানান, নদী রক্ষায় বিভিন্ন প্রকল্প সরকার দেয়। নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা, বাঁমতীর ভাঙ্গন রোধে রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন প্রকল্প সঠিক ভাবে ব্যায় ও কাজ হয় না। তাতে বন্যার আগেই পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে নদী ভাঙ্গনে ভয়ালরূপ দেখা দেয়। এতে বিলীন হয়ে যায় ঘরবাড়ি, ফসলী জমিসহ বিভিন্ন সরকারী বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান। পরিদর্শন কালে প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, আমি আপনাদের পাশে আছি। নদী আর ভাঙ্গতে দিবো না। ভাঙ্গন প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।