বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পানগুছি নদীর পশ্চিম পাড়ের ফেরির পল্টুনের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় ফেরী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে যাত্রীবাহী মোটরযান সহ পারাপারের যাত্রী সাধারণ। শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ-বাগেরহাট মহাসড়কের মধ্যবর্তী পানগুছি নদীর ফেরিটি খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ। মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর এ ফেরি থেকে পারাপার হয়। বিশেষ করে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা থেকে প্রায় প্রতিদিন প্রায় অর্ধ শত যাত্রীবাহী পরিবহন ঢাকা ও চট্রগামের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করে। প্রতিদিন হাজার হাজার মোটর সাইকেল, ভ্যান, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, বিআরটিসি বাস, রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স সহ হাজারো যাত্রীবাহী পরিবহন এ ফেরি থেকে যাতায়াত করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে নদীর নাব্যতা হৃাস পাওয়ায় স্বাভাবিক জোয়ারে মহাসড়কের সাথে পশ্চিম পাড়ের পল্টুনের সংযোগ সড়ক ও গ্যাংওয়ে ডুবে যায়। অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২/৩ ফুট পানি বেড়ে গেলে উভয় পাড়ে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিনদিনের অমাবশ্যার তিথিতে জোয়ারের পানিতে পশ্চিম পাড়ের পল্টুনের সংযোগ সড়ক ডুবে গেছে। নারী পুরুষ হাঁটুর উপরে পানি নিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পল্টুনে ওঠে। মহিলা ও শিশুরা ভিজে কিংবা ভ্যানে করে পল্টুনে উঠতে বাধ্য হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ বাগেরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদ উদ্দিন জানান, স্বাভাবিক জোয়ারে পল্টুন সংলগ্ন সংযোগ রাস্তায় পানি না উঠলেও অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার তিথিতে রাস্তাপি প্লাবিত হয়। তবে পরবর্তিতে এ রাস্তায় যাতে পানিতে প্লাবিত না হয় সে ব্যবস্থা শীঘ্রই করা হবে।