শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
জব্দ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর রিট আরেক হত্যা মামলায় সাবেক বিচারপতি মানিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে মানহানির মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান উৎপাদনে ফিরলো কর্ণফুলী পেপার মিল ২০৫০ সালের মধ্যে ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু হবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণে দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, দলবল নিয়ে ঘুরছেন পার্কে পিআইবির নতুন ডিজি ফারুক ওয়াসিফ, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আবদুল্লাহ ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্প আইন আপনার হাতে তুলে নেয়ার কারো কোনো অধিকার নেই :স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল

ভোলার লালমোহনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট সার

বাসস:
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

জেলার লালমোহন উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন ও ব্যবহার। যা স্থানীয়ভাবে কেঁচো সার হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে উপজেলা কৃষি অফিসের এসএসিপি প্রকল্পের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে নিয়ে প্রাথমিকভাবে এ সার উৎপাদন শুরু করা হয়। বর্তমানে উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারীর সংখ্যা রয়েছে তিন শতাধিক এবং ব্যবহার করছে আট শাতাধিক কৃষক।
শীতের সময় প্রতি মাসে এ উপজেলায় ৮ থেকে ৯ মেট্রিকটন ও বর্ষাকালে ২ থেকে ৩ মেট্রিকটন সার উৎপাদন করা হয়। ভোলার বাইরের অন্য জেলায় এখান থেকে সার বিক্রি হচ্ছে। ধানের জমিতেও এ সার ব্যবহার করার জন্য কৃষি অফিস থেকে উদ্বোদ্ধ করা হচ্ছে। অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে এ সার উৎপাদনের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোবর, গৃহস্থলীর আবর্জনা ও কেঁচো দিয়ে এ সার উৎপাদন করা হয়। পরিপূর্ণ সার হতে সময় লাগে ২০-২৫ দিন। আর প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার বিক্রি করা হচ্ছে ১০-১৫ টাকা। প্রতি কেজি এ সার উৎপাদন করতে কৃষকদের খরচ হয় মাত্র ২-৩ টাকা। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে মাটির উর্বরশক্তি ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম হয়, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার হ্রাস পায়, পরবর্তী ফসলে সারের পরিমাণ তুলনামূলক কম প্রয়োজন হয় ও এ সার ব্যবহারে পরিবেশ থাকে দূষণমুক্ত।
গজারীয়া এলাকার মাসুদ, আক্তার হোসেন ও ধীরেন মজুমদার জানান, প্রথমে কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এ সারের উৎপাদন শুরু করি আমরা। বর্তমানে এ সারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যা জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে বিক্রি করা যাচ্ছে। এখানে সল্প পুঁজিতে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। সরকারিভাবে ঋণের ব্যবস্থা করা হলে এ সার উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা যাবে বলে জানান তারা।
উপজেলার ধৌলিগরনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাসেল রহমান ও মামুন আলী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবত জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট ব্যবহার করছি। ফসলের ফলনও ভালো পাচ্ছি। তাই আমরা নিজেরাই এটা উৎপাদনের কথা ভাবছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন বাসস’কে বলেন, আমাদের এসএসিপি প্রকল্পের মাধ্যমে এখানের মোট ১২০ জন কৃষক-কৃষাণীকে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ প্রদান করা হয়। যার ফলে পরবর্তীতে এ উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় উঠছে ভার্মি কম্পোস্ট সারের উৎপাদন ও ব্যবহার। উপজেলার চর উমেদ গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট পল্লী।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে এ সার। গত এক বছরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি ও ব্যবহার। মূলত সবজি চাষে এ সার বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন টেকসই করতে ঋণ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com