কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা হাট-বাজারে সরকারি বিধি নিষেধকে উপেক্ষা করে হাট ইজারাদার কর্তৃক ক্ষুদ্র (চটি) ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, দোকানের স্থান পরিবর্তন, দোকানের জায়গা দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায়ে মারপিট ও বাজারের জায়গা দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ওই বাজারে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই বাজারে পান, সবজি, শুটকি, লবনসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রায় আড়াইশ ক্ষুদ্র (চটি) দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানাগেছে, হাট ইজারাদার এরশাদুল হক হাটবাজারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সরকারের নির্ধারিত খাজনা থাকার পরিপত্রের বিধি নিষেধকে উপক্ষো করে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এদিকে সরকারি ভাবে খাজনা আদায়ের মুল্য তালিকা নজরকারা স্থানে সাইনবোর্ড আকারে টাঙ্গানোর নির্দেশনা থাকলেও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে সাইনবোর্ড না টাঙ্গিয়ে দাপটের সাথে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করছে। এছাড়াও ক্ষুদ্র (চটি) ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোড় পূর্বক জনপ্রতি ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে নেওয়া হচ্ছে। দোকান ছুক্কু মিয়া, বদিউজ্জামান, লাবলু, মোকছেদ, দুলু, মালেক ও লুৎফরসহ অনেকেই অতিরিক্ত অর্থ দিতে না চাইলে ইজারাদার এরশাদুল ও তার লোকজন এলোপাথারি মারপিট ও নানা ভাবে হুমকি ধামকি দেয়। দাঁতভাঙ্গা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জেনারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, খোলা যায়গায় বসে আমি সবজি বিক্রি করি। আমাদের প্রতি চটের (দোকান) জন্য সরকার নির্ধারিত খাজনার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। পান বিক্রেতা আব্দুল মালেক ও মোকছেদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ ১২ বছর ধরে পান ব্যবসা করে আসছি। কিন্তুু বর্তমান হাট-ইজারাদার এরশাদুল প্রতি দোকান বাবদ আমাদের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা করে দিতে হচ্ছে। যদি ওই অর্থ না দেয় তাহলে হতদরিদ্র ব্যবসায়ীদের দোকান পাট লোকজন ভাড়া করে নিয়ে ভেঙে দিচ্ছে।’ এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের (চটি) দোকান সরিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে অন্যের দখলে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন অভিযুক্ত ইজারাদার এরশাদুল হক। পানের দোকানদার আব্দুল মালেক জানান, আমার দোকান সরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নেয় হাট-ইজারাদার এরশাদ ও আফজাল নামের এক ব্যক্তি। কিছু বলতে গেলে নান্ াভাবে ভয়ভীতি দেখায়। দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম রেজাউল করিম বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আমাকে কিছু জানায়নি। তবে শুনেছি তাদের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাট ইজারাদার ও তার লোকজন চাঁদা আদায় করছে। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা হাট-বাজার ইজারাদার এরশাদুল হক চাঁদা আদায়ের বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) তানভীর আহমেদ জানান, এ বিষয় মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজখবর নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল ইমরান বলেন, এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।