করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতির পর জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল। ১০ দলের অংশ গ্রহণে আগামী নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের আয়োজক আফ্রিকার দেশটির সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ দুই দলের খেলোয়াড়রাই এই সিরিজের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য জৈব-সুরক্ষা পরিবেশে প্রবেশ করবে। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় ফেব্রুয়ারি-মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ এটি। বাংলাদেশ নারী দল ২০১৯ সালের নভেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। জিম্বাবুয়ে সফর ও বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের জন্য আগামী ৪ বা ৫ নভেম্বর দেশ ছাড়তে পারে বাংলাদেশ। করোনার কারণে দু’বার পিছিয়ে যাওয়া বাছাই পর্ব ২১ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরে টাইগ্রেসরা। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে সিলেটে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ লকডাউনে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সিরিজে পঞ্চম ম্যাচটি বাতিল করা হয়েছিল। তবে আসন্ন সফরে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ শুধুমাত্র স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির মহিলা শাখার চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো প্রধান কোচের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে পাইনি।’ ২০২০ সালের জুন মাসে ভারতের সাবেক অধিনায়ক অঞ্জু জৈন চলে যাবার পর প্রধান কোচের পদটি খালি হয়। নাদেল বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে সেখানে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেহেতু এটি ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব, তাই আমরা সেখানে শুধু ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
নারী ক্রিকেটাররা ১৮ মাসের জন্য খেলার বাইরে থাকলেও ৬০ জন খেলোয়াড় নিয়ে সাভার বিকেএসপিতে একটি স্কিল ও ফিটনেস ক্যাম্পের আয়োজন করে বিসিবি। যাদের মধ্যে ক্যাম্পে ২২ জন কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ও ছিলেন। সূত্র-বাসস