সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না বিরাট কোহলির। দিনকয়েক আগেই তিনি ঘোষণা করেছেন, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপের পর ভারতের জাতীয় দলের টি-২০-এর নেতৃত্ব ছাড়বেন। এই ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই কোহলি জানিয়ে দেন, আইপিএল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কত্বও ছাড়বেন তিনি। চলতি মরশুমে বিরাট আরসিবির অধিনায়ক থাকলেও, আগামী মরশুম থেকে তিনি আর অধিনায়কত্ব করবেন না। এমনটাই জানিয়েছেন বিরাট। এরই মধ্যে বিরাটকে নিয়ে পুরোদস্তুর বিস্ফোরণ ঘটালেন টিম ইন্ডিয়ার সাবেক ক্রিকেটার। বলে দিলেন, বিরাটকে এই মুহূর্তে দিশেহারা দেখাচ্ছে। যা পরিস্থিতি তাতে মরশুমের মাঝপথেই তাকে ব্যাঙ্গালোরের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে। আর একটি ম্যাচে খারাপ খেললেই অধিনায়কত্ব খোয়াতে পারেন বিরাট।
আসলে বিরাট কোহলি একেবারেই ভালো ফর্মে নেই। তার ব্যাটে দীর্ঘদিন বড় রান নেই। এসবের মধ্যেই আইপিএল এবং জাতীয় দলের টি-২০-র অধিনায়কত্ব ছাড়তে হয়েছে। ওয়ানডে ক্রিকেটেও তার অধিনায়কত্ব ধরে রাখা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। ঘটনাচক্রে কোহলি যেদিন আইপিএলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন, তার পর দিনই তার দল আরসিবি লজ্জাজনকভাবে হারল কেকেআরের বিরুদ্ধে। নাইটদের বিরুদ্ধে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। বিরাট নিজে করেন মাত্র ৮ রান। যে বলটিতে তিনি আউট হন, সেটাও আহামরি কিছু ছিল না। মাত্র ১০ ওভারেই ওই রান তুলে ফেলেছে কেকেআর। ওই ম্যাচ প্রসঙ্গেই, নাম জানাতে অনিচ্ছুক ওই প্রাক্তন ক্রিকেটার এক সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ও কেকেআরের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলল দেখলেন? পুরো দিশেহারা। মনে হচ্ছে ওর আরো খারাপ সময় আসছে। আশঙ্কা আছে, মরশুমের মাঝপথেই হয়তো ওকে অধিনায়কের পদ থেকে সরে যেতে হবে। আগেও এমন হয়েছে। কেকেআরে দীনেশ কার্তিক অধিনায়কত্ব হারিয়েছেন। ডেভিড ওয়ার্নার হায়দরাবাদের অধিনায়কত্ব খুইয়েছেন। সুতরাং আরসিবিতেও তেমনটা হতেই পারে। আমার মনে হচ্ছে আরেকটা ম্যাচ খারাপ খেললেই বিরাটকে অধিনায়কের পদ ছাড়তে হতে পারে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন