আগের ম্যাচে স্লগ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছিলে মুস্তাফিজ। ৪ ওভারে সেখানে ৩০ রান দিলেও পাননি উইকেটের দেখা। তবে শনিবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বল হাতে নয়নকাড়া বোলিং করলেন বাংলাদেশের তারকা পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রানে তিনি নিয়েছেন দু’টি উইকেট। আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি করেছে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান। টস জিতে আগে দিল্লিকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় রাজস্থান রয়্যালস। বল হাতে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন মোস্তাফিজ। প্রথম ওভারে দেন ৬ রান। নেই কোনো উইকেট। এরপর খানিকটা বিরতিতে। ১২তম ওভারে নিজের দ্বিতীয় ওভার বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। এই ওভারে দেন ৫ রান। পান এক উইকেট। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ইনসাইড বোল্ড হয়ে ফেরেন ২৪ বলে ২৪ রান করা রিশব পন্থ। ১৭তম ওভারে আবার আসেন মোস্তাফিজ। এই ওভারে মোস্তাফিজ দেন মাত্র ৪ রান। পান এক উইকেট। তার বলে সাকারিয়ার হাতে ক্যাচ দেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার শিমরান হেটমায়ার। ২০ ওভারে আবার মোস্তাফিজ। এই ওভারে তুলনামূলক একটু খরুচে ছিলেন তিনি। শেষের দিকে এমনটা হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। দেন ৯ রান। এর মধ্যে দু’টি রান আবার বাই। রান আউটের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন মোস্তাফিজ এই ওভারে। ৪ ওভার বোলিং করেছে এমন বোলারদের মধ্যে মোস্তাফিজের ইকোনমি রেট সবচেয়ে ভালো, ৫.৫০। দু’টি উইকেট পেয়েছেন চেতন সাকারিয়া। কিন্তু ৪ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৩৩ রান। আগের ম্যাচে তুখোড় বোলিং করা কার্তিক ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে পেয়েছেন এক উইকেট। রাহুল তেওয়ারি ৩ ওভারে ১৭ রানে নেন এক উইকেট।
বৃথা গেলো মোস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিং: দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দারুণ বোলিং করেছে মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দিল্লিকে ১৫৪ রানেই আটকে দেয়ে রাজস্থানের বোলাররা। এদিন চোখ ধাঁধানো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। শুরুতেই মোস্তাফিজকে দিয়ে আক্রমণ করান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। প্রথম ওভারে উইকেট না পেলেও দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। এরপর ১২তম ওভারে ফের বল হাতে নিয়ে দিল্লি অধিনায়ককে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। ওই ওভারে টাইগার পেসার দেন মাত্র ৫ রান। ১৭তম ওভারে এসে ফেরান সিমরন হেটমায়ারকে। ওই ওভার থেকে ৪ রান তুলতে পারে দিল্লি। ইনিংসের শেষ ওভারটিও করেন মোস্তাফিজ। বাঁহাতি এই পেসারের ওভারটিতে বাউন্ডারি না হলেও দিল্লি তুলে নেয় ৯ রান। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচ করে কাটার মাস্টার নেন ২ উইকেট। আর দিল্লি করেন ৬ উইকেটে ১৫৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল না রাজস্থান। ৫৫ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন একাই লড়েছেন। শেষ পর্যন্ত রাজস্থান দলপতির ৭০ রানে অপরাজিত ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানের বেশি করতে পারেনি রাজস্থান। দিল্লির পক্ষে ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন এনরিক নরকিয়া।